আঙ্গুর চাষ করে সফল চুয়াডাঙ্গার কয়েকজন যুবক
প্রকাশিত : ২১:৫৭, ২৭ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ২২:০৪, ২৭ জুলাই ২০২০
শখের বসে আঙ্গুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার কয়েকজন যুবক। তারা বাড়ির আঙ্গিনায় এবং কৃষি জমিতে গড়ে তুলেছেন আঙ্গুরের বাগান। অনেকের বাগানে ফলও এসেছে। তাদের প্রত্যাশা বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠবে আঙ্গুরের বাগান।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা হঠাৎপাড়ার মামা-ভাগ্নে আমিরুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম। বছর দুয়েক আগে ভারত থেকে ২৫টি আঙ্গুরের চারা নিয়ে আসেন। সেই চারা রোপন করেন। গেল বছর তাদের গাছে প্রথম ফল আসে। এবছর ডালে ডালে থোকায় থোকায় ছেয়ে গেছে আঙুর। একটি গাছে ২০ থেকে ৩০ কেজি আঙুর পাবে বলে আশা করছেন তারা।
চাষীরা জানায়, আঙ্গুরের প্রচুর ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত একটা গাছ থেকে এক মন আঙ্গুর সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আরো সংগ্রহ করা যাবে বলে আশা করছেন। তাদের দেখা দেখি আরো অনেকেই আঙ্গুর চাষে এগিয়ে আসবেন। বিদেশ থেকে আমদানী না করে দেশেই যেন পর্যাপ্ত পরিমান আঙ্গুর উৎপাদন করা যায় তিনি সেই আশাও করছেন।
তাদের মত আরেক যুবক চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মানিক। শখের বসে বাড়ির আঙ্গিনায় রোপন করেন আঙ্গুরের চারা। গত বছর থেকে আসছে ফল। এদের মতো চুয়াডাঙ্গার আরো অনেকেই গড়েছেন আঙ্গুর বাগান।
আঙ্গুর চাষী আমিরুল ইসলাম জানায়, প্রথম বার প্রায় চল্লিশ হাজার টাকার আঙ্গুর বিক্রি করেছেন, পরবর্তীতে দুলক্ষ টাকার আঙ্গুর বিক্রির আশা করছেন। দর্শনার্থীরা বলছেন, এই আঙ্গুরগুলি খেতেও বেশ সুস্বাদু।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান। তিনি জানান, যেই হারে উৎপাদন হচ্ছে, যদি এই আঙ্গুরের মিষ্টতা বাড়ানো যায়, বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করতে পারলে বৈদেশিক চাহিদা মিটবে।
কৃষি বিভাগ বলছে, চুয়াডাঙ্গার চাষীদের ব্যতিক্রমী চাষে বরাবরই উৎসাহ দিয়ে আসছে।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন-
এসইউএ/এসি
আরও পড়ুন