আজ ঠাকুরগাওয়ের জাঠিভাঙ্গা গনহত্যা দিবস
প্রকাশিত : ১৩:৫৩, ২৩ এপ্রিল ২০১৭ | আপডেট: ১৪:৩৭, ২৩ এপ্রিল ২০১৭
জাঠিভাঙ্গা গনহত্যা
ঠাকুরগাওয়ের জাঠিভাঙ্গা গনহত্যা দিবস আজ। ৭১’র এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় ৩ হাজারেরও অধিক নীরিহ মানুষকে হত্যা করে । এসব শহীদদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানরা দীর্ঘ দিন ধরে বিচার দাবি করেও কোন প্রতিকার পাননি। গনহত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার ও শহীদ পরিবারের মযর্দার দাবী জানিয়েছেন তারা।
৭১’র ২৩ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনীর ভয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, চকহলদি, সিঙ্গিয়া, চন্ডিপুর, আলমপুর, বাসুদেবপুর, গৌরীপুর, মিলনপুর, শুকানপুকুরী ঢাবঢুবসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার বাঙালি নরনারী ও শিশু জীবন বাঁচাতে ভারতে যাওয়ার পথে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন জাঠিভাঙ্গায় ।
এ খবর পেয়ে পাকবাহিনীর দোশর এ দেশীয় রাজাকাররা পুরুষদেরকে জাটিভাঙ্গা পাথরাজ নদীর তীরে নিয়ে যায় এবং লাইনে দাঁড় করিয়ে মেশিনগানের গুলিতে হত্যা করে।
নিহতদের স্মরণে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটা অরক্ষিত রয়েছে। স্বামী হারানো সেই নারীদের অনেকে আজো বেঁচে আছে। কিন্তু নির্যাতনের শিকার প্রায় সাড়ে ৩’শ বিধবা ও তাদের সন্তানরা আজো পাননি কোন বিচার বা সরকারী সুযোগ সুবিধাও।
নির্যাতনের শিকার ওই বিধবা ও শহীদ পরিবারকে পূর্ণবাসনের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
শুধু আশ্বাস নয়- ঠাকুরগাওয়ে গনহত্যা ও নির্যাতনের সাথে জড়িতদের বিচারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
আরও পড়ুন