আজ থেকে সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণ
প্রকাশিত : ১১:১০, ১ জুলাই ২০১৮
আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল ডিজিটে সুদহার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে ঋণ এবং ছয় শতাংশ সুদে তিন মাস মেয়াদি আমানত গ্রহণ করবে ব্যাংকগুলো।
এরই মধ্যে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেসরকারি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে এ সিঙ্গেল ডিজিট কার্যক্রম চালু হয়েছে। এ ব্যাংক দুটি নিজ উদ্যোগেস আগে থেকেই সিঙ্গেল ডিজিট কার্যক্রমের ঘোষণা দেয়। পরে গত ২০ জুন এক বৈঠকে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১ জুলাই থেকে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে ঋণ এবং ছয় শতাংশ সুদে তিন মাস মেয়াদি আমানত নেয়া হবে। একই ঘোষণা দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোও। এসব ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে দেশের সব ব্যাংকে সিঙ্গের ডিজিটে ঋণ কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা।
এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান বলেন, রোববার (আজ) থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিট শতভাগ কার্যকর করবে। অনেক ঋণ আগেও সিঙ্গেল ডিজিট বা তার কাছাকাছি অথবা একটু বেশি ছিল। এখন শুধু বর্ধিত অংশ কমিয়ে আনা হবে।
বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ৩৮টি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ২২টি ব্যাংকের এমডি ঋণের সুদ সিঙ্গেল ডিজিটে নামানোর ঘোষণা কার্যকরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২২টি ব্যাংক পারলে অন্য ব্যাংক কেন পারবে না? তিনি বলেন, এ ঘোষণা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এতে অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও সম্মতি দিয়েছেন।
তবে সব ঋণে সুদহার সিঙ্গেল ডিজিট বা ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা কার্যকরে আপত্তি জানিয়েছেন বেসরকারি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা। তারা বলছেন, প্রথম পর্যায়ে শুধু শিল্প ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামানো হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য ক্ষেত্রেও সুদহার কমানো হবে। তবে ক্রেডিট কার্ড বা অন্য ভোক্তা ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার সম্ভাবনা কম। আবার শুধু তিন মাস নয়, সব আমানতের ক্ষেত্রে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর বলেন, ১ জুলাই থেকে ৯ শতাংশে ঋণ বিতরণ এবং ছয় শতাংশ সুদে আমানত নেয়ার বিষয়টি কার্যকর করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে প্রত্যেক ব্যাংক নিজ নিজ বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, ব্যাংকের লোকসান হলে রেটিং খারাপ হবে। আর রেটিং খারাপ হলে কোনো বিদেশি ব্যাংক লেনদেন করতে চাইবে না। এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
আরকে//
আরও পড়ুন