ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

আজ বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে দায়িত্ব নিচ্ছেন চবি উপাচার্য

প্রকাশিত : ১১:৪৩, ৭ মার্চ ২০১৯

বেতন-ভাতাসহ নীতিমালায় থাকা কোনও সুযোগ-সুবিধা না নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু চেয়ার নির্বাহী কমিটি সমাজতত্ত্ব বিভাগের এই অধ্যাপককে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে নিয়োগের সুপারিশ করে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্রে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ।

তিনি বলেন, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। নীতিমালায় উল্লেখ থাকা বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ না করেই তিনি এ পদের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ৩ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় জীবন, রাজনীতি, আদর্শ ও কীর্তি নিয়ে একাধারে গবেষণা লেখালেখি করায় সমাজবিজ্ঞানী ও বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে মনোনীত করার সুপারিশ করে বঙ্গবন্ধু চেয়ার নির্বাহী কমিটি।

এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার নির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় সভায় সুপারিশটি নির্বাহী কমিটি অনুমোদন করে। এ অনুমোদনে স্বাক্ষর করেন নির্বাহী কমিটির সদস্য উপ-উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৭ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় জীবন ও কীর্তি নিয়ে গবেষণা এবং তার স্মৃতি সংরক্ষণার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ চালু করার উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ জন্য ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। গত ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদের নীতিমালা প্রণয়ন করেন। একই দিন নীতিমালা কমিটির সভার পর ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ নির্বাহী কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে মনোনীত করার সুপারিশ করা হয়। পরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২০তম সিন্ডিকেট সভায় বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদের নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়।

‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ নির্বাহী কমিটির সুপারিশে উল্লেখ করা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় জীবন, রাজনীতি, আদর্শ ও কীর্তি নিয়ে একাধারে গবেষণা লেখালেখি করায় সমাজবিজ্ঞানী ও বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে যোগদানের তারিখের পর থেকে চার বছরের জন্য চবি ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সুপারিশ করছে।

এ সুপারিশের প্রেক্ষিতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু গবেষণাগারে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে দায়িত্ব গ্রহন করবেন উপাচার্য ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং বিশ্ব রাজনীতির কবি। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রধান অনুপ্রেরণা। জীবন দিয়ে যিনি একটি জাতিকে স্বাধীন করে গেছেন সেই বঙ্গবন্ধুর কীর্তি ও সংগ্রামী জীবন নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে জাতির সামনে তাকে কার্যকরভাবে তুলে ধরা আমাদের কর্তব্য।

তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই মুজিববাদী ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন লালনের চেষ্টা করেছি আমি। তার বাল্যকাল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের শেষ পর্যন্ত নানা বিষয় নিয়ে আমি গবেষণা সমৃদ্ধ লেখালেখি করে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার নির্বাহী কমিটি আমাকে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে দায়িত্ব নেওয়া সুপারিশ করেছে।

‘এ চেয়ার পদের নীতিমালায় বেতন-ভাতাসহ বেশকিছু সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ রয়েছে। আমি এই সুযোগ সুবিধা গ্রহণ না করার শর্তে এ দায়িত্ব নেওয়ার সম্মতি জানিয়েছি’ যোগ করেন উপাচার্য।

২০১৭ সালের ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫১০তম সভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় জীবন ও কীর্তি নিয়ে গবেষণা ও তার স্মৃতি সংরক্ষণার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’সৃষ্টি ও প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি