আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা দিবস
প্রকাশিত : ০৮:৫৭, ৮ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৫:২৯, ২১ মে ২০১৭
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা দিবস আজ। থ্যালাসেমিয়া- বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত ভয়াবহ রোগ। বাবা-মা কেউ একজন বা দু’জনই থ্যালাসেমিয়া রোগী বা বাহক হলে বংশানুক্রমে ছড়ায় সন্তানের মধ্যে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাবা-মা উভয়ের থ্যালাসেমিয়া জিন থাকলে ভূমিষ্ট শিশুর শতকরা ২৫ ভাগ এ রোগে আক্রান্ত হয়। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের।
জন্ম থেকেই থ্যালাসেমিয়ায় ভূগছে শিশুটি। অবুঝ দৃষ্টিতে নেই প্রাণের ছোঁয়া।
৮ বছরের এ শিশুটির বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন রক্ত, কিন্তু দরিদ্র মায়ের জন্য সেই রক্ত জোগাড় করা অনেক কষ্টসাধ্য। জন্মের পর থেকেই তাই নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে সন্তানের জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে লড়াই চলছে মায়ের।
রাজধানীর ব্লাড ব্যাংকগুলোতে অনেক সময় রক্ত পাওয়া যায় না। কখনো আবার কেনার মত অর্থ থাকে না রোগীর অভিভাবকদের। তখন নির্ভর করতে হয় স্বেচ্ছা রক্তাদাতাদের উপর।
চিকিৎসকরা বলছেন, থ্যালাসেমিয়া চিহ্নিত করে চিকিৎসা করানো হলে আক্রান্তরা সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে। রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলেও মত তাদের।
স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান চিকিৎসকদের।