বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল
আজ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৮:১৩, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সফল হতে চলেছে চার বছরের প্রচেষ্টা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শুরু হতে যাচ্ছে এক হাজার শয্যার মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যান্ড সুপার স্পেশালাইজড হসপিটালের নির্মাণকাজ। যেখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসা ব্যবস্থা। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ হাসপাতালটি চালু হলে দেশেই রোগীদের বিশ্বমানের উন্নত ও আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ মিলবে। এমন আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।
বিএসএমএমইউর শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণা কার্যক্রম গতিশীল ও উন্নত, দেশের রোগীদের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার প্রবণতা হ্রাস এবং তুলনামূলক সাশ্রয়ী খরচে দেশেই উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে এ হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর দিকে ১২ বিঘা জমির ওপর এ হাসপাতাল নির্মিত হতে যাচ্ছে। ইস্টাবলিশমেন্ট অব আ মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যান্ড সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যাট বিএসএমএমইউর নির্মাণ কাজ শুরুর লক্ষ্যে ইতঃপূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও কোরিয়ার হুন্দাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির মধ্যে চুক্তি হয়।
এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করছে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক। এর আগে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নামের প্রকল্পটি অনুমোদন দেন।
বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা গেছে, নির্মিতব্য এক হাজার শয্যার হাসপাতালে থাকবে লিভার গল ব্লাডার ও প্যানক্রিস সেন্টার, অরগান ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার, ক্যান্সার সেন্টার, ম্যাটারনাল এবং চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ডেন্টাল সেন্টার, কার্ডিও ভাসকুলার/নিউরো সার্জারি সেন্টার, এনড্রোক্রাইনোলজি ডায়াবেটিস সেন্টার, রেসপাইরেটরি সেন্টার, জেরিআট্রিক (বয়স্কদের চিকিৎসা) সেন্টার, জয়েন্ট/স্পাইন কর্ড সেন্টার, হার্ট সেন্টার, বার্ন ইনজুরি সেন্টার, হেলথ স্ক্রিনিং সেন্টার, ইমারজেন্সি মেডিকেল সেন্টার, এমবুলেটরি সার্জারি সেন্টার এবং কিডনি মেশিন সেন্টার (হিমোডায়ালাইসিস সেন্টার)।
এই বিশেষায়িত হাসপাতালটি একটি পূর্ণাঙ্গ গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখানে থাকবে সব ধরনের গবেষণা উপযোগী আধুনিক যন্ত্রপাতি। দেশে উন্নততর চিকিৎসাবিদ্যা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের জন্য থাকবে অত্যাধুনিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা ও বায়োমেডিকেল রিসার্চের সুযোগ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিদেশে যেতে হয় এই হাসপাতালটি নির্মিত হলে দেশেই সেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে। ফলে কমে আসবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের এ হাসপাতালে মিলবে বিদেশের অত্যাধুনিক হাসপাতালের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা। এ ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসা পেতে যাদের মধ্যে বিদেশগামী প্রবণতা রয়েছে তারা অপেক্ষাকৃত কম খরচে বিমান ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয় ছাড়া দেশেই পাবেন সমমানের সেবা।
এসএ/