আজ শুরু কলেরার টিকাদান কর্মসূচি
প্রকাশিত : ০৮:৪২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আজ বুধবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি। দেশে ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ কমানোর লক্ষ্যে ছয়দিনব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত । ঢাকা সিটি করপোরেশনের মোহাম্মদপুর, আদাবর দারুস সালাম, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ ও লালবাগ এলাকার ১৬টি ওয়ার্ডে (৯, ১০, ১৪, ২২-২৫, ২৯-৩৪, ৫৫-৫৭) এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সিটি করপোরেশনের স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসহ ৩৬০ টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই টিকা দেয়া হবে। তবে কর্মজীবীদের সুবিধার্থে কিছু কিছু টিকাদান কেন্দ্র সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। এক বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সি মানুষের জন্য এই টিকাদান কর্মসূচি।
প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার ৫টি এলাকায় শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে ঢাকার কলেরা প্রবণ অন্যান্য এলাকা এবং সারা বাংলাদেশের কলেরা প্রবণ এলাকাতেও এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্র শাখার ডিরেক্টর ও সিডিসি’র লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌস লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ২০৩০ সালের মধ্যে কলেরা নির্মূলের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বাংলাদেশের জন্য কলেরা কন্ট্রোল প্লান ২০১৯-২০৩০ গ্রহণ করে, যেখানে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি কলেরা টিকাদানকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল টাক্সফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল (জিটিএফসিসি)-এর মাধ্যমে ইউনিসেফের সহায়তায় চব্বিশ লাখ মুখে খাওয়ার কলেরা টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে, যা একমাস অন্তর অন্তর ২টি ডোজের মাধ্যমে একবছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদেরকে প্রদান করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ)-এর সহায়তায় আইসিডিডিআরবি এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজি কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার এই কলেরা টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনপ্রাপ্ত ও নিরাপদ।
এএইচ/
আরও পড়ুন