আজও বজ্রপাতে নিহত আরও ১১

চলমান বৈরি আবহাওয়ায় বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন আরও ১১ জন। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতের কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

বজ্রপাতে নিহতদের মাঝে সুনামগঞ্জের চারজন, গাইবান্ধা, সিলেট ও বগুড়ার দুই জন করে এবং শেরপুরের একজন ব্যক্তি রয়েছেন।

সুনামগঞ্জে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ (৪৫), জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের খোজারগাঁও গ্রামের কমলাকান্ত তালুকদার (৬০), বিমখালি ইউনিয়নের কলকতা গ্রামের হিরণ মিয়া (৩৫), বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের মেরুয়াখলা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে আলম মিয়া (৫০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল্লাহ।

গাইবান্ধায় নিহতেরা একই পরিবারের সদস্য। বিলে ধান কাটতে গিয়ে নিহত হয়েছেন মা ও ছেলে। নিহতেরা হলেন সাঘাটা উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩৫) ও ছেলে সোহেল রানা (১৮)। সকাল ৮টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ বজ্রপাতে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। সোনাতলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে নিহত দুই জনই কিশোর। আজ বেলা ২টার দিকে উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের বড়াই গ্রামের পাশের হাওরে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।

বড়াই গ্রামের করিম আলী ওরফে বতাইয়ের ছেলে তোফায়েল আহমদ তামিম ও ফখরুল ইসলামের ছেলে সালমান আহমদ হচ্ছে নিহত দুই কিশোর। কানাইঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়ার মেঘাখাদবো গ্রামের তবিবর শেখের ছেলে তমিজুর রহমান (৪৭) ও অজ্ঞাত আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বউলি বিলে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন এক কৃষি শ্রমিক। ধলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রহিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আহত দুইজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

//এস এইচ এস//টিকে