আজও যেখানে চিঠি নিয়ে উড়ে যায় পায়রা
প্রকাশিত : ১২:৪৪, ২১ এপ্রিল ২০১৮
প্রযুক্তি যখন আকাশ ছুঁয়েছে৷ তখন ঐতিহ্যকে আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৌঁডানোর গতিও বাড়ছে৷ পথে হেঁটে চিঠি লেখার রেওয়াজ কমেছে৷ বদলে গেছে চিঠি পাঠানোর পদ্ধতিও৷
কিন্তু শত বছরের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন ভারতের ওড়িশা পুলিশকর্মীরা৷ এখানে ডাক যোগে চিঠি আদানপ্রদান নয়, তাদের গুরুত্বপূর্ণ চিঠি নিয়ে যাচ্ছে পায়রা৷
পায়রা যে একসময় প্রধান বার্তা বাহক ছিল। আমরা ভুলতে বসেছিলাম সেই প্রথাকে। প্রথা ধরে রাখতেই পুলিশকর্মীদের এমন উদ্যোগ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পঞ্চাশটি পায়রা নিয়ে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল ওড়িশা পুলিশ৷ কটক থেকে ভুবনেশ্বর পাঠানো হয় পায়রাগুলিকে৷ প্রত্যেকের কাছেই ছিল চিঠি৷ যা তাদের পায়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল৷
২০ মিনিটেরও কম সময়ে পায়রাগুলি ২৪ কিমি রাস্তা অতিক্রম করে৷ সত্তর বছরের পুরোনো ওড়িশা পুলিশ পিজিয়ন সার্ভিস এই আয়োজনের উদ্যোক্তা৷ পায়রা দিয়ে চিঠি আদান প্রদানের ধারা তারা বজায় রাখতে চান বলে জানালেন সাবেক ডিজিপি অমিয় ভূষণ ত্রিপাঠি৷
১৯৭০ সালে ২০০ টি পায়রা নিয়ে শুরু হয়েছিল ওড়িশা পুলিশ পিজিয়ন সার্ভিস৷ দেশের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো এই পরিষেবা৷ ১৯৯৯ সালে সুপার সাইক্লোনের সময় যখন রেডিও ব্যাবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে, তখন তাক লাগিয়েছিল এই পায়রা পরিষেবা৷ এর মাধ্যমেই চলত জরুরি বার্তা আদানপ্রদান৷ কলকাতা২৪
আর