ঢাকা, বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪

আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১০ অক্টোবর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৯, ১৩ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৪:৩৩, ১৩ আগস্ট ২০১৭

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের করা আপিল শুনানির জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্যা করেছেন আদালত।  


প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার এই দিন ধার্য করেন। সেই সঙ্গে ২৪ আগস্টের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে বলা হয়েছে। কোনো ধরনের মুলতবি ছাড়াই শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। আদালত বলেছেন, এ জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হলো। আপনারা লিখিত বক্তব্য দাখিল করবেন।


আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জামায়াত নেতা আজহারুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদিন এবং সৈয়দ মো. কায়সারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।


অ্যাটর্নি জেনারেল দুই মামলায় আলাদা শুনানির আবেদন করলে প্রধান বিচাপরতি বলেন, আপনারা অনেক সময় নিয়ে নিয়েছেন। লিখিত আর্গুমেন্ট জমা দেবেন, শুনানি হবে।


আপিল বিভাগে গত বছরের ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় হয়েছিল। ১৬ মাস পর আরও দুটি আপিলের শুনানির তারিখ পড়ল একই সঙ্গে।


এর মধ্যে চলতি বছরের ১৫ মে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রিভিউ নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় এখন পর্যন্ত সাতটি আপিলের রায় ঘোষণা হয়েছে আপিল বিভাগে।


প্রায় তিন বছর আগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ একাত্তরে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। প্রসিকিউশনের আনা নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত ১৪০০ লোককে হত্যা এবং ১৪ জনকে খুনের অপরাধে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন এই জামায়াত নেতা।


এদিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সৈয়দ কায়সারকে ২০১৫ সলের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।


১৯৭১ সালে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে ওই দুই জেলায় যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেন এই মুসলিম লীগ নেতা। জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি হয়ে যান বিএনপির লোক, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময় জাতীয় পার্টির।


সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে, যার মধ্যে দুই নারীকে ধর্ষণের ঘটনাও রয়েছে।  এই দুই বীরাঙ্গনার মধ্যে একজন এবং তার গর্ভে জন্ম নেওয়া এক যুদ্ধশিশু এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আপিল করেন সৈয়দ কায়সার।

//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি