আজিজাকে পুড়িয়ে হত্যা : চাচী বিউটি গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১৬:১৪, ৩১ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:১৫, ৩১ অক্টোবর ২০১৭
নরসিংদীর শিবপুরে স্কুলছাত্রী আজিজা খাতুনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার চাচী বিউটি বেগম (২৬) ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার রাত ৩টার দিকে সিলেটের বিশ্বনাথ থানাধীন মীরেরগাঁও গ্রাম থেকে এ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অপরজন হলেন মামলার ৪ নম্বর আসামি সানোয়ারা বেগম (৫০)।
আজ মঙ্গলবার সিলেট র্যাব-৯-এর গণমাধ্যম শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯-এর একটি চৌকস দল গতকাল দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ থানাধীন মীরেরগাঁও গ্রাম থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে।
দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী স্থানে গাছের পাতা কুড়াচ্ছিল নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খৈনকুট গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছোট মেয়ে আজিজা খাতুন (১৩)। ওই সময় চাচী বিউটি বেগম ও তার ভাই রুবেল মিয়া একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আজিজাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
ওই দুজন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির কাছে একটি উঁচু টিলায় আজিজার শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেয়। পরে তারা দিয়াশলাই দিয়ে ওই কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা আজিজার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আগুনে পুড়তে দেখেন। পরে তারা পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। ততক্ষণে তার শরীরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে ঝলসে যায়।
গুরুতর অবস্থায় থাকা কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোররাতে আজিজার মৃত্যু হয়।
/ এমআর / এআর
আরও পড়ুন