ঢাকা, রবিবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আটক জেলে-নাবিকদের ফেরত দিতে ‘কঠিন’ শর্ত দিলো ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৩, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২০:৪১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের পারাদ্বীপে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটকে থাকা ৭৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে ইতোমধ্যেই কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে দুই দেশ। এর মধ্যেই বাংলাদেশি জেলেদের শর্তহীন বাংলাদেশে ফেরা আটকাতে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে উড়িষ্যা সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদক সমিতি। তিন দপ্তরেই চিঠি দিয়ে বাংলাদেশি জেলেদের দেশে ফেরা নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনার গোটা প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছে উড়িষ্যার মৎস্যজীবীদের সর্ববৃহৎ এই সংগঠন। 

এই সংগঠনের দাবি, বিনা শর্তে বাংলাদেশি জেলেদের মুক্তি নয়। বাংলাদেশি জেলেদের পরিবর্তে ফেরত দিতে হবে বাংলাদেশের জেলে আটকে থাকা উড়িষ্যার ৩১ জন জেলেকে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের তরফেও দাবি উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের ৭৯ জন জেলেকে ফেরানোর ব্যাপারে। 

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদক সংঘের সভাপতি শ্রীকান্ত পরিডা বলেছেন, ‘গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশি জাহাজ দুটি ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে বেআইনভাবে মাছ মারার সময় কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে তাদের আটক করে পারাদ্বীপে আনা হয়। এই ছোট জাহাজে মোট ১৬০ মেট্রিক টনের বেশি মাছ ছিল। এটিকে নিলাম করার জন্য সরকারিভাবে বলা হলেও এখন মাছসহ আটক ৭৮ জন বাংলাদেশিকে স্বদেশে ফেরানোর জন্য সরকার চেষ্টা করছে। এতে উড়িষ্যা সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদক সমিতি বিরোধিতা করছে। তাদের বিরোধিতা লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ও মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেছেন, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর ৩১ ভারতীয় জেলে সমুদ্রের মধ্যে মাছ ধরার সময় ভুলবশত বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে। এর ফলে বাংলাদেশ সরকার তাদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ৩০ টন মাছ বাজেয়াপ্ত করে। আজ অবধি বাংলাদেশ সরকার তাদের মুক্তি দেয়নি। যদি বাংলাদেশ সরকার তাদের ৭৮ জন জেলেকে নিজ দেশে নিতে চায় তবে প্রথমে বাংলাদেশে কারাদণ্ড ভোগ করা ৩১ জন জেলেকে মুক্তি দিন।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সপ্তাহখানেক আগেও বিধানসভায় বাংলাদেশে আটক থাকা পশ্চিমবঙ্গের ৭৯ জন জেলের মুক্তির ব্যাপারে বিধানসভার অভ্যন্তরে সরব হয়েছিলেন। 

ভারতীয় কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে সর্বশেষ বিবৃতিতে জানানো হয়, গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কোস্টগার্ডের নিয়মিত নজরদারির সময় আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনের (আইএমবিএল) কাছ থেকে এফভি লায়লা-২ ও এফভি মেঘনা-৫ নামের দুটি ট্রলারসহ বাংলাদেশি জেলেদের আটক করা হয়। ওই জাহাজে থাকা মোট ৭৮ জন ক্রু সদস্যকে উড়িষ্যার পারাদ্বীপে নিয়ে আসার পর তাদের আলাদা আলাদাভাবে ভারতীয় কোস্ট গার্ড, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং সিআইএফ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুরো ঘটনা নিয়ে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবগত আছে, খুব শিগগির এটি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যদি তাদের হস্তান্তরের নির্দেশ আসে তাহলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আইন মেনে তাদের হস্তান্তর করা হবে।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি