আতঙ্কে শেয়ার হাতছাড়া না করার পরামর্শ
প্রকাশিত : ১৫:২৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৪৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
রাজনৈতিক অস্থিরতার সমূহ সম্ভাবনা ঘিরে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করায়, শেয়ার হাতছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে। এমতাবস্থায় একটি গোষ্ঠী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে শেয়ার হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাই গুজবে কান না দিয়ে, মৌলভিত্তিক শেয়ার হাতছাড়া না করতে শেয়ার হোল্ডারদের আহ্বান জানিয়েছেন শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বার বার আশ্বস্ত করা সত্ত্বেও শেয়ার হোল্ডারদের সচেতন করা যাচ্ছে না বলে, গত বুধবার আবারও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এবং শীর্ষস্থানীয় ৩০ ব্রোকারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতায় একগুচ্ছ প্রস্তাব দেয়া হয়। সেখানে আতঙ্কে মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ার হাতছাড়া না করারও পরামর্শ দেন তারা।
এর আগে বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে গত বুধবার বাজার সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও বাজারের পতন থামেনি। সর্বশেষ দুই কার্যদিবসেও (বৃহস্পতি ও রোববার) পতনের ধারা অব্যাহত ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এবং শীর্ষস্থানীয় ৩০ ব্রোকারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে গতকাল ডিবিএ প্রেসিডেন্ট মোস্তাক আহমেদ সাদেক এবং বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, এডি রেশিওর সঙ্গে সরাসরি পুঁজিবাজার বিনিয়োগের সম্পর্ক নেই। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো তাদের মূলধনের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করে থাকে। আর এডি রেশিওর বিষয়টি ব্যাংকের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সম্পর্কিত। আমানতের তুলনায় ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেখানে ভারসাম্য আনতেই এডি রেশিও কমানো হয়। এডি রেশিও ইস্যুটি বিনিয়োগকারীদের বাস্তব ভিত্তিতে মূল্যায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় বন্ড, ডিবেঞ্চার, প্রেফারেন্স শেয়ারসহ অতালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগকে পুঁজিবাজার বিনিয়োগসীমার আওতার বাইরে রাখারও দাবি জানান তারা। তারা আরও বলেন, ‘এতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের পরিধি বাড়বে। মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর কাছে বিনিয়োগযোগ্য তহবিল থাকলে আমরা অনুরোধ করব তাদেরকে বিনিয়োগ করার জন্য। এটিও বাজারের জন্য একটি সাপোর্ট হিসেবে কাজ করবে।’
এদিকে বিএসইসিকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন,সিকিউরিটিজ হাউজগুলোকে নতুন শাখা খোলার অনুমোদন দিন। এতে করে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম আরো বিস্তৃত পরিসরে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এদিকে পতনের দিনেও ডিএসইতে লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। সারা দিনে ডিএসইতে ১১ কোটি ৯ লাখ ৩ হাজার ৫৮০টি শেয়ার, করপোরেট বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছিল ৩৬৪ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে তা ছিল ৩২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
এসইউ/এমজে
আরও পড়ুন