ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আত্মীয়তার বন্ধনকে সুদৃঢ় করার নির্দেশ আল্লাহর

প্রকাশিত : ১৮:২২, ২০ মে ২০১৯

মাতা-পিতা, ভাই-বোন, সন্তানাদী, আত্মীয়স্বজন, জ্ঞাতিগোষ্ঠী আমাদের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, নিকটবর্তী এবং দূরবর্তী সব শ্রেণীর আত্মীয়ের সঙ্গে উত্তম সম্পর্ক রেখে সদ্ব্যবহার করার জোর তাগিদ দেয়। আমরা সবাই একে অন্যের সুখ-দুঃখের অংশীদার।

আন্তরিকতা নিয়ে কুরআন অনুধাবন করতে চাইলে যে কোন সাধারণ মানুষের পক্ষেই তা সম্ভব। কারণ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের হেদায়েতের জন্যেই কুরআন নাজিল হয়েছে। আল্লাহর নির্দেশাবলী অনুযায়ী জীবন যাপনেই সফলতা।

আত্মীয়-স্বজনের হক সম্পর্কে আল্লাহর নির্দেশ : ‘তারা তোমাকে প্রশ্ন করবে, আমরা অন্যের জন্য কী প্রক্রিয়ায় ব্যয় করব? (হে নবী!) তুমি বলো, তোমাদের অর্থসম্পত্তি প্রথমত মা-বাবা, তারপর পরিবার, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অভাবী ও মুসাফিরদের জন্যে ব্যয় করবে। তোমরা যে সৎকর্মই করো না কেন, আল্লাহ তা সবই জানেন।’ (সূরা বাকারা ২১৫)

‘হে মানুষ! সচেতন হও তোমার প্রতিপালকের মহিমা সম্পর্কে! যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। যিনি সেই ব্যক্তি থেকেই তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন। যিনি তাদের দু’জন থেকে অসংখ্য নরনারী জমিনে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তোমরা সচেতন হও সেই আল্লাহর, যাঁর নামে তোমরা পরস্পরের কাছে অধিকার দাবি করো। যত্নশীল হও জ্ঞাতিবন্ধন রক্ষায়। নিশ্চিত জেনো, তোমরা আল্লাহর তীক্ষ্ণ নজরদারির মধ্যেই রয়েছে।’ (সূরা নিসা ১)

‘পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজনের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে পুরুষের অংশ আছে এবং পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজনের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে নারীরও অংশ আছে। তা অল্প হোক বা বেশি, এ অংশ আল্লাহ নির্ধারিত। সম্পত্তি বণ্টনকালে আত্মীয়-স্বজন, এতিম ও অভাবগ্রস্ত লোক উপস্থিত থাকলে সে সম্পত্তি থেকে তাদেরও কিছু দান করো এবং তাদের সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সূরা নিসা ৭-৮)

‘যারা পরবর্তী সময়ে বিশ্বাস করেছে, হিজরত করেছে এবং তোমাদের সঙ্গে একত্র হয়ে আল্লাহর পথে সর্বাত্মক সংগ্রাম করেছে তারাও তোমাদের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর বিধান অনুসারে সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে আত্মীয়দের দাবি অগ্রগণ্য। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।’ (সূরা আনফাল ৭৫)

‘আল্লাহ অবশ্যই সুবিচার, সদাচরণ ও আত্মীয়স্বজনদের দানের নির্দেশ দেন। তিনি অশ্লীলতা, ঈর্ষা ও অন্যায়-জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি বার বার উপদেশ দেন, যাতে তোমাদের মনে থাকে।’ (সূরা আন-নহল ৯০)

‘তোমাদের মধ্যে কারো মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে, তার যদি ধনসম্পত্তি থাকে, তবে মা-বাবা ও নিকটাত্মীয়ের জন্যে ইনসাফ মোতাবেক অসিয়ত করাকে ফরজ করা হলো। আল্লাহ-সচেতনদের জন্যে এটা অবশ্য কর্তব্য।’ (সূরা বাকারা ১৮০)

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি