ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

আদর্শ ও নেতৃত্বের সমন্বয়ই আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১২, ২২ জুন ২০২০ | আপডেট: ২২:১৯, ২২ জুন ২০২০

আওয়ামী লীগের কালজয়ী আদর্শ, সম্মোহনী নেতৃত্ব এবং দেশ ও দেশের মানুষের প্রয়োজনে যে কোন চ্যালেঞ্জে নেতৃত্বদানের সামর্থ্যর জন্যই রাজনীতি সগৌরবে টিকে আছে।

আর আগামী দিনেও যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মতো দল হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগ সমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে থাকবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের নবীনতা ও সজীবতা, গণমানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, নির্ভরতা, মানুষের অধিকার আদায়ে যেমন আওয়ামী লীগ তেমনি মানুষের প্রয়োজনে যে কোন চ্যালেঞ্জে নেতৃত্ব দান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব আছে বলেই আওয়ামী লীগের আজকের এই অবস্থান।

তিনি বলেন, আগামী দিনেও যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মতো একটি রাজনৈতিক দল হলো আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মানুষের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগ টিকে আছে এবং থাকবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে যেমন দেশকে স্বাধীন করেছে তেমনি স্বাধীনতার পরেও দেশের যেকোন সংকট ও দুর্যোগে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে ও জনগণের জীবন রক্ষা করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করা। অদৃশ্যমান এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও লড়াই করছে।

আহমদ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে কোন অস্ত্রের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হলো দেশের মানুষকে সচেতন করে তোলা ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা ও করোনাভাইরাস দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে করণীয় ঠিক করা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সে জন্য দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে দেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। আর করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ের জন্য সুনিদিষ্ট অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ চির যৌবনা একটি রাজনৈতিক দল। দেশের মানুষের মনের মণিকোঠায় আওয়ামী লীগের স্থান। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে। অধিকার, উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলে এই সংগঠন।

আফজাল বলেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র যে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শকে সামনে রেখে সৃষ্টি হয়েছিল একমাত্র আওয়ামী লীগই সে আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। কোন জেনারেল বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ঠ ভোগীর হাতে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়নি। মানুষের আশা-আকাংখাকে উপজীব্য করে সৃষ্টি হয়েছে। তাই বাংলাদেশ যত দিন থাকবে ততদিন আওয়ামী লীগও সগৌরবে টিকে থাকবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও আওয়ামী লীগের ইতিহাস এক ও অভিন্ন। আর যে রাজনৈতিক দল যে দেশের জন্মের সঙ্গে জড়িত সেই দল দেশের রাজনীতিতে টিকে থাকবেই।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর বলেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আদর্শের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দলের সুযোগ্য নেতৃত্ব ও যোগ্য কর্মীবাহিনীর জন্য কালজয়ী আদর্শের জন্য আওয়ামী লীগ টিকে আছে এবং থাকবে।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, দেশের যে কোন দু:সময়ে আওয়ামী লীগ নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে কখনো আপোষ করে না। আর সেজন্যই আওয়ামী লীগ গণভিত্তি সম্পন্ন একটি মজবুত ও শক্তিশালী রাজনৈতিক দল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরার পর থেকে আওয়ামী লীগ শত প্রতিকূলতা ও ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও সমহিমায় টিকে আছে। আর দেশের যা ভাল কিছু অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। দেশের মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে। আর সেজন্যই আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসেছে।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর ভাষা আন্দোলন থেকে দেশের প্রতিটি স্বাধীকার আন্দোলনে নেতৃত্বদান করে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের পর তার কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী ও এক্যবদ্ধ সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলেন।

সামরিক সরকার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্বদান করেন তিনি। তার সম্মোহনী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। তারপর ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসে। তারপরের দু’টি সাধারণ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি