আধুনিকায়ন হচ্ছে মহামায়া ইকো পার্ক
প্রকাশিত : ১১:৫৪, ৫ নভেম্বর ২০২২
চট্টগ্রামের মিরসরাইর ঠাকুরদিঘি এলাকায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়া সেচ প্রকল্প। মহামায়াকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ।
পর্যটক আকর্ষণে নির্মাণ করা হচ্ছে তথ্য সেবাকেন্দ্র, টয়লেট, গাড়ি পার্কিংসহ বিভিন্ন উন্নয়ন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর কৃত্রিম লেক মহামায়া সেচ প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মহামায়া ও খৈয়াছড়া ঝরনাকে পর্যটনমুখী করতে ২০১৭ সালে প্রায় ৫০ কোটি টাকার দুই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় মহামায়া সেচ প্রকল্পের জন্য ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ওই বছর মহামায়া সেচ প্রকল্প আধুনিকায়ন শুরু করে বন বিভাগ।
আধুনিকায়নের মধ্যে রয়েছে তথ্য সেবাকেন্দ্র নির্মাণ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ব্যারাক নির্মাণ, টয়লেট নির্মাণ, গোলছাতা ঘর নির্মাণ, বনায়ন, গাড়ি পার্কিং এরিয়া, ভূমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ লাইন সঞ্চালনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ।
আরও জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষকে পাহাড়ি ঢল থেকে রক্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মহামায়া সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে মহামায়া ইকোপার্কে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১৬৯ হেক্টর বনায়ন করা হয়েছে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তথ্য সেবাকেন্দ্র ও স্টাফ ব্যারাকের কাজ। নির্মাণ করা হচ্ছে একাধিক গোল ছাতা ঘর।
তবে পিকনিক স্পটসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজ এখনও শুরু হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, ইকোপার্ক হওয়ার ফলে পাহাড় থেকে অনেক জীববৈচিত্র্য হারিয়ে গেছে। আগে এসব পাহাড়ে বানর, হরিণসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি দেখা গেলেও এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। সরকার নতুন করে বনায়ন করায় বিলুপ্ত প্রাণীগুলোর পুনরায় প্রজনন ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়ণহাট রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মুহাম্মদ খান বলেন, নতুন করে বনায়নের ফলে মহামায়ায় বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের প্রজনন আবারও শুরু হবে। ফলে পর্যটনের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে প্রকল্পটি।
এএইচ
আরও পড়ুন