ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আনন্দ করতে গিয়ে শিশুকেই মেরে ফেলল হিজড়ারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

আনন্দ করতে গিয়ে শিশুকেই মেরে ফেলল হিজড়ারা

আনন্দ করতে গিয়ে শিশুকেই মেরে ফেলল হিজড়ারা

Ekushey Television Ltd.

শিশুর জন্মের খবর পেয়ে রীতিমতো হাজির হিজড়ার দল। দুই হাজার টাকা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তারা। তাই অভিভাবকদের কথা কানে না নিয়ে শিশুকে নিয়ে সেকি উল্লাস হিজড়াদের। পরে অসুস্থ হয়ে মারা যায় দেড় মাস বয়সী শিশুটি। আর তিন হিজড়ার জায়গা হলো জেলখানায়।

শুক্রবার এমনই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ঝাড়গ্রামে।

এ ঘটনায় শিশুটির বাড়ির লোকের অভিযোগ পেয়ে তিন হিজড়াকে গ্রেফতার করেছে বিনপুর থানার পুলিশ। সুহানা, রুমানা ও রানি মণ্ডল নামে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিনপুর থানার আইসি বিপ্লব পতি। শনিবার তাদের আদালতে তোলা হবে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের। 

বিনপুরের শিলদার বাসিন্দা চন্দন খিলার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, দেড় মাস আগে তার স্ত্রী দুটি যমজ পুত্রের জন্ম দেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার বাড়িতে আসেন তিন জন হিজড়া। যমজ ছেলে হওয়ায় তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। পরে দুই হাজার টাকায় দফারফা হয়।

তার পরই দুটি শিশুকে নিয়ে উঠানে নাচ গান শুরু করেন হিজড়ারা। তার পরিবারের লোকজন বলেন, একটা বাচ্চা অসুস্থ ছিল। তাকে নিয়ে নাচ করতে বার বার নিষেধ করি আমরা। কিন্তু সে কথা কানে নেয়নি ওই তিন বৃহন্নলা। ওরা চলে যেতেই দেখি ছেলেটা নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওকে শিলদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা জানান, ও আর বেঁচে নেই।

ঝাড়গ্রামের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রকাশ মৃধা গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে দেড় মাস বয়সী ওই শিশুর। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

এদিকে, সন্তানের মৃত্যুর পর ওই তিন হিজড়ার বিরুদ্ধে বিনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চন্দন বাবু। তার পরই বিনপুরের মাটিয়ানা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্র- জিনিউজ।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি