আনিসুল হকের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রকাশিত : ১৫:৩১, ২ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২২:০৭, ২ ডিসেম্বর ২০১৭
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ দেখতে তার বাসায় আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনদের সমবেদনা জানান। বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছান। আড়াইটার দিকে তিনি বের হয়ে যান।
এর আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আনিসুল হকের মরদেহ সরাসরি বনানীর বাসভবনে নেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অপেক্ষা করছিলেন। বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষও মরদেহ দেখতে বাসার সামনে ভিড় করেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বাসভবনে ঢুকে মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন সিটি বিনির্মাণে আনিসুল হকের স্বপ্ন পূরণে আমরা কাজ করে যাব। মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো। আমি নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। দেশের মানুষ তাকে অনেক ভালোবাসতেন। তার প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি আমরা। বহু মানুষকে কান্নার সাগরে ভাসিয়ে তিনি চলে গেলেন ।
আনিসুল হককে শ্রদ্ধা জানাতে তার বাসভবনের সামনে একটি শোকবই খোলা হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক বইয়ে মন্তব্য লিখছেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তার মরদেহ বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে। লন্ডনে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিসুল হকের মৃত্যু হয়।
আনিসুল হক ১৯৫২ সালের ২৭ অক্টোবর ফেনী জেলার সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলায়। বর্তমান সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক মেয়র আনিসুল হকের ছোট ভাই। স্ত্রী রুবানা হকসহ তিন সন্তানকে রেখে গেছেন তিনি।
উপস্থাপক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় হন আনিসুল হক। পরবর্তীতে তৈরি পোশাক খাতের সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন তিনি। এরপর বিজিএমইএ, এফবিসিসিআই ও সার্ক চেম্বারের মতো ব্যবসায় সংগঠনগুলোর সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
এসএইচ/