আনিসুলের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে
প্রকাশিত : ১৩:৩৭, ২ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৪৮, ২ ডিসেম্বর ২০১৭
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মৃতদেহ এখন আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে বিশিষ্টজনের তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে আনিসুল হকের লাশ আর্মি স্টেডিয়ামে পৌছায়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বাদ আসর জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য লাশ রাখা হবে। আর্মি স্টেডিয়ামে মন্ত্রীসভার সদস্য এবং আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা রয়েছেন। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেন ব্যবসায়ী নেতারা।
এর আগে আনিসুলের লাশ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি দুপুর ১ টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় সেখানে আনিসুল হকের ভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল শফিউল হক উপস্থিত থেকে লাশ গ্রহণ করেন।
বিমানবন্দর থেকে আনিসুল হকের মরদেহ তাঁর বনানীর ২৭ নম্বর সড়কে নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। আগে থেকেই সেখানে হাজির ছিলেন প্রয়াত মেয়রের আত্মীয়-স্বজনসহ বিপুল সংখ্যক শুভানুধ্যায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ।
শেষবারের মতো আনিসুল হক নিজের বাসভবনে পৌঁছালে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের তৈরি হয়।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ২টার দিকে তার মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার পথে যাত্রা করে। এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁর মৃতদেহ আর্মি স্টেডিয়ামের দিকে নেওয়া হচ্ছে। দুপুর দুইটায় জানাজার নামাজ শেষে তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে তাঁর পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই সপরিবারে যুক্তরাজ্য সফরে যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি ঘটলে তাকে গত ৩১ অক্টোবর আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। গত সোমবার তাঁর রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়লে তাঁকে পুনরায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। শেষে গত বৃহস্পতিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এমজে/ এআর