ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪০, ২২ মে ২০২০

আজ আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস। আল কুদস বা বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়তম স্থানগুলোর একটি, যেখানে রয়েছে মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসা। বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেম শুধু মুসলমান নয়, বিশ্বের ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কাছেও প্রিয় ও পবিত্র স্থান। 

নবী মুহম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র মেরাজ গমনকালে মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করেন। তিনি ছিলেন নামাজে অংশগ্রহণকারী সব নবী-রাসুলের ইমাম।

এ ছাড়া বনি ইসরাইলের নবী-রাসুলরা যেমন হজরত মুসা, দাউদ, সুলায়মান এবং ঈসা (আ) এর দ্বীন প্রচারের কেন্দ্র ছিল এই ফিলিস্তিন ভূমি। হজরত ইবরাহিম (আ) এর মাজার এখনো ফিলিস্তিনের আল-খলিল শহরে রয়েছে। হাজারো নবী-রাসুলের স্মৃতিচিহ্ন বুকে নিয়ে অবস্থান করছে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে আল কুদস, মসজিদুল আকসা এবং আশপাশের এলাকাগুলো। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, আল কুদসের গুরুত্ব ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে কত বেশি।

বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশবাদী চক্র সাম্প্রদায়িক ইহুদি জায়নিস্টদের ইন্ধন জুগিয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা একের পর এক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মুসলমানদের বর্বরোচিতভাবে শহর ও গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করছে। ফিলিস্তিন জবরদখলদার সাম্প্রদায়িক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে চলেছে। প্রতিবাদ করে আসছে বিশ্ববাসী।

ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর ইমাম খোমেনি ফিলিস্তিন ইস্যুকে ইসলামিকরণ করেন এবং পবিত্র জুমাতুল বিদায় আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস পালনের আহ্বান জানান। মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাসকে দখল মুক্ত করার আন্দোলনের প্রতীকী দিন এটি। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইল বায়তুল মুকাদ্দাস দখল করে আছে।

ইমাম খোমেনির আহ্বানে ১৯৭৯ সালে ইরানে প্রথম শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস। এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ।

আজ বিশ্বের নানা দেশে দিবসটি পালিত হবে।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি