ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

‘ডিগনিটি, ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস ফর অল’ (‘মানব-মর্যাদা, স্বাধীনতা আর ন্যায়পরায়ণতা, দাঁড়াব সকলেই অধিকারের সুরক্ষায়’) এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ১০ ডিসেম্বর, পালিত হচ্ছে- ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘে ‘মানবাধিকারের’ সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এ বছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ‘৭৫ বছর পূর্তি’ পালিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও এই দিবস পালিত হচ্ছে। 

দিবসটি উপলক্ষ্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেন, “আমি আশা করি মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, “বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে বিশ্বের শোষিত-নিপীড়িত মানুষের সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। জাতিসংঘ মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ বছর মানবাধিকার দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। আমাদের সরকারের আমলেই জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশ চার বার সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের এই ফল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং প্রচারে বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। তাছাড়াও এটি দেশে এবং বিদেশে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কতিপয় ব্যক্তিবর্গের দেওয়া মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করার হীন উদ্দেশ্যকেও মিথ্যা প্রমাণ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিঃস্বার্থ সংগ্রাম ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতা লাভের মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই তিনি দেশের সকল নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষার দলিল হিসেবে সংবিধান প্রণয়ন করেন।”
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি