ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আন্দোলনে আহতদের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেলের ফ্রি চিকিৎসা প্রদান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ছাত্র, জনতা, পুলিশসহ ৪৯৮ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল।  

জানা যায়, গত ৪ আগস্ট খামারগ্রাম ডিগ্রী কলেজ ও খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছোরা গুলি ও মারধরে আহত হয় অন্তত ৫ শতাধিক মানুষ। মারা যান থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক সহ ১৩ জন পুলিশ। এছাড়া  মাধবপুরের শফি মিয়ার ছেলে কলেজ ছাত্র মোঃ শিহাব হোসেন (১৯),  গোপরেখীর কুদ্দুস আলীর ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ মোঃ সিয়াম হোসেন (২০) এবং খুকনীর ঝাওপাড়ার তাঁত শ্রমিক ইয়াহিয়া আলী (৩৬) গুলিবৃদ্ধ হয়ে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেয়া হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মাসুদার রহমান ও সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শিউলি আক্তার জানান, জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সংঘর্ষে আহত শত শত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। ৪০-৫০ জন নার্স চিকিৎসক যখন চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছিল। তবে অনেকে জীবন বাঁচাতে পেরেছি এটাই আমাদের সার্থকতা।

খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপক কৌশিক আহমেদ জানিয়েছেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেদিন অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রেখে সবাই ছুটে গিয়েছিলাম আহত রোগীদের বাঁচাতে। সবার সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আমরা ৪৯৮ জন রোগীকে সুচিকিৎসা দিয়েছি। এজন্য বিপুল পরিমাণ টাকা চিকিৎসায় ব্যয় হলেও কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কারো কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়নি। বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে চিকিৎসা।

এ ব্যাপারে বিএনপি'র রাজশাহী বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, স্বৈরাচারকে উৎখাতের আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে সর্বাত্মক চিকিৎসা দেয়ায় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

এসএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি