আবারও অধিভুক্ত সাত কলেজ বাতিলের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
প্রকাশিত : ২২:৩০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।
এসময় সমাবেশকারীরা অবিলম্বে নতুন সেশনে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করার দাবি জানায়। এছাড়াও তারা অধিভুক্তি সমস্যার যৌক্তিক কোনো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষণা দেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। পরে সমাবেশকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে যায়।
অধিভুক্ত বাতিল আন্দোলনের অন্যতম সম্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, 'অবিলম্বে নতুন সেশনে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা কমিটি করেছিল কিন্তু তাঁরা কোনো কাজ করতে পারে নাই। তাঁরা তাদের ব্যর্থতার কথাই জানান দিচ্ছে এর মধ্য দিয়ে।'
সমাবেশে উপস্থিত সালেহ উদ্দীন সিফাত বলেন, 'যে কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সে কমিটি আমাদের কেন দেখানো হলো। ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মধ্য দিয়ে বুঝনো হয়েছে তারা কোনো সমাধান করতে পারবে না।'
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভিাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে গত জুলাইয়ে কয়েক দফায় আন্দোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ২১ থেকে ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসননিক ও একাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেও আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ২৩ জুলাই ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপে তালা ভেঙে ক্লাস পরীক্ষা শুরু হয়। ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধিভুক্ত নিয়ে কোনো সমাধানে উপনীত হতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে সর্বশেষ গত ২১,২২ ও ২৩ জুলাই টানা তিন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের মুখে গত ২৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে সাত কলেজ সমস্যা সমাধানে কমিটি গঠন হয়। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
এসি
আরও পড়ুন