আবাসনবান্ধব বিধিমালা প্রণয়নের দাবি ডিডি-রেগ`এর
প্রকাশিত : ১৭:২৩, ১৮ মে ২০২৪ | আপডেট: ১৭:২৬, ১৮ মে ২০২৪
সবার জন্য বাসস্থান ও আবাসন শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নতুন ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন চেয়েছেন ঢাকা বিভাগের আবাসন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের আবাসন ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন- ঢাকা ডেভেলপারস এন্ড রিয়েল এস্টেট গ্রুপ (ডি.ডি-রেগ)।
প্রচার সম্পাদক শহিদুল্লাহ বাগমার প্রান্তিকের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান। বক্তব্য রাখেন এম এ এলাহী শিমুল ও মোঃ হেলাল।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা, ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) নির্ধারণের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা, ভবন বা ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে উচ্চতা সীমার বিধিনিষেধ শিথিল করা, ফ্ল্যাট ও জমির নিবন্ধন ব্যয় সহনশীল রাখা, প্রকল্পের অনুমোদন-সংক্রান্ত জটিলতা দূর করাসহ নানা দাবি তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২৪ এর বিরোধী নয় ঢাকা ডেভেলপারস এন্ড রিয়েল এস্টেট গ্রুপ। তবে এই নীতিমালায় বেশ কিছু সাংঘর্ষিক ইস্যু রয়েছে যার সংশোধন চান তারা।
যেমন, কোনো এলাকায় ২০ ফুট রাস্তা থাকলে ৫ কাঠায় ৪ তলা বাড়ি তৈরির নীতিতে জমি সংকট বাড়বে, চাপ পড়বে কৃষি জমির ওপর। কেউ ছোট ছোট ইউনিট করতে চাইলে তার সুযোগ নেই এ আইনে।
নতুন ফ্লোর এরিয়া রেশিওতে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে- কোন জমিতে কত ইউনিট বাড়ি করা যাবে, কতগুলো ফ্ল্যাট হবে। এ আইন পাশ হলে নীতিমালার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
পূর্বের আইনে ১৬ ফুট রাস্তার জন্য জমির মালিক ৪ ফুট ছেড়ে দিলে ফার একটু বাড়িয়ে দেয়া হতো। নতুন আইনে সে সুযোগ নেই। এরফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সব পক্ষ। জমির দুদিকে ছেড়ে আগের নীতি অনুযায়ী ফার বাড়ানোর অনুরোধ জানান ব্যবসায়ীরা।
ইমারত নির্মাণ বিধিমালা পাশ হওয়ার পর দুই থেকে তিন বছর সময় পাবেন উদ্যোক্তারা। অর্থাৎ বর্তমানে যেসব ফ্ল্যাট প্রতি স্কয়ার ফুট ৬ হাজার টাকা, দুবছর পর তার মূল্য হবে প্রায় ১০ হাজার টাকা। দাম বাড়বে নির্মাণ সামগ্রীর। এ অবস্থায় শুধু উচ্চবিত্তরাই ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ফ্ল্যাট। এ অবস্থায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর জন্য।
বক্তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে উচ্চতর ভবন নির্মাণের দিকে এগুচ্ছে, সেখানে আমরা উল্টো পথে হাঁটছি। অথচ যতদিন যাচ্ছে আবাসন খাতের চাহিদা ততই বাড়ছে। কম উচ্চতার ভবন নির্মাণের বিধিমালায় আগামীতে জমির সংকট তীব্র রূপ নেবে বলে শংকা প্রকাশ করেন তারা।
নিবন্ধন ফি সহনীয় করার ওপরও জোর দেন বক্তারা। বলেন, রাজউকের কাছে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি ইমারত নির্মাণ বিধিমালা প্রত্যাশা করেন।
একইসঙ্গে আবাসন বান্ধব বাজেট প্রণয়নের পাশাপাশি আবাসন নির্মাণ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
এমএম//
আরও পড়ুন