আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কিশোর মাহিমের জামিন
প্রকাশিত : ১৫:২৭, ১ আগস্ট ২০২৪
রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের হত্যা মামলায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশু আদালত-১-এর বিচারক মোস্তফা কামাল শুনানি শেষে এই জামিন আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাহিমের আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় ছিল।
তিনি বলেন, ”মাহিম শিশু হওয়ায় মামলা স্থানান্তর হয়েছে। এর আগে ৪ আগস্ট শুনানির দিন ছিল। কিন্তু আমরা আজ নতুন করে শুনানির জন্য আবেদন করেছি। আদালত শুনানি গ্রহণ করে জামিন মঞ্জুর করেছেন।”
আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি করা হয় ১৬ বছরের এই কিশোরকে। এর আগে বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মাহিমকে কারাগারে পাঠান আদালত।
এরআগে মাহিমের বোন সানজানা আক্তার স্নেহা ফেসবুকে লিখেন, “১৮ তারিখ মাহিম কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলে জানতে পারে পরীক্ষা স্থগিত, তখন বন্ধুদের সাথে মিছিলের মাঝে জড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশের টিয়ারশেলে বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা ১৮ তারিখ আনুমানিক ৪টায় ওর বন্ধুদের থেকে জানতে পারি তার পায়ে রাবার বুলেট লেগেছে, সেখানের লোকাল মানুষজন কোনো হসপিটালে অ্যাডমিট করিয়েছে। রাত ১০টা পর্যন্ত সব হসপিটাল-ক্লিনিক খুঁজেও পাচ্ছিলাম না।”
তিনি আরও লিখেন, “তখন বাবার কাছে একটা কল আসে, তারা জানায় আপনার ছেলে আমাদের হেফাজতে আছে। জানাজানি করিয়েন না তাতে ছেলের ক্ষতি হবে, তাকে আগামীকাল সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে আমরা খোঁজ নিলে তারা অস্বীকার করে বলে, তাদের কাছে এই নামে কেউ নেই। এরপর আনুমানিক বিকেল ৪:৩০টায় কোর্ট থেকে কল আসে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা কোর্ট থেকে নথিপত্র নিয়ে জানলাম তাকে আবু সাইদ হত্যা মামলায় দেওয়া হয়েছে। সেদিন থেকে বার বার কারাগারের দরজা থেকে ফিরে এসেছি। একটাবার দেখা তো দূরে থাক তার কণ্ঠও শুনতে দেয়নি কেউ। ”
সানজানা আরও লিখেছেন, “মেট্রো কোর্ট তার মামলা কিছুতেই শিশু কোর্টে দিতে চায়নি। অনেক চেষ্টা করে গত ৩০ জুলাই শিশু কোর্টে নেওয়া হলে ডেট দেয় আগামী ৪ আগস্ট। ৪ তারিখ কী রায় দেবে আমার জানা নেই, তবে আমি আমার ভাইকে ফিরে পেতে চাই, বেকসুর খালাস দেয়া হোক এটা চাই।”
এরপরই কিশোর শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
আলফি শাহরিয়ার মাহিম রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। কলেজ আইডি-১৭৬৬০, বয়স ১৬ বছর ১০ মাস।
এসবি/
আরও পড়ুন