আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের মাহিম কারাগারে
প্রকাশিত : ১১:৪৯, ১ আগস্ট ২০২৪ | আপডেট: ১২:৫৫, ১ আগস্ট ২০২৪
রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ১৬ বছরের শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বোন সানজানা আক্তার স্নেহা।
সানজানা আক্তার স্নেহা ফেসবুকে লিখেছেন, “১৮ তারিখ মাহিম কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলে জানতে পারে পরীক্ষা স্থগিত, তখন বন্ধুদের সাথে মিছিলের মাঝে জড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশের টিয়ারশেলে বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা ১৮ তারিখ আনুমানিক ৪টায় ওর বন্ধুদের থেকে জানতে পারি তার পায়ে রাবার বুলেট লেগেছে, সেখানের লোকাল মানুষজন কোনো হসপিটালে অ্যাডমিট করিয়েছে। রাত ১০টা পর্যন্ত সব হসপিটাল-ক্লিনিক খুঁজেও পাচ্ছিলাম না।
তখন বাবার কাছে একটা কল আসে, তারা জানায় আপনার ছেলে আমাদের হেফাজতে আছে। জানাজানি করিয়েন না তাতে ছেলের ক্ষতি হবে, তাকে আগামীকাল সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে আমরা খোঁজ নিলে তারা অস্বীকার করে বলে, তাদের কাছে এই নামে কেউ নেই। এরপর আনুমানিক বিকেল ৪:৩০টায় কোর্ট থেকে কল আসে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আমরা কোর্ট থেকে নথিপত্র নিয়ে জানলাম তাকে আবু সাইদ হত্যা মামলায় দেওয়া হয়েছে। সেদিন থেকে বার বার কারাগারের দরজা থেকে ফিরে এসেছি। একটাবার দেখা তো দূরে থাক তার কণ্ঠও শুনতে দেয়নি কেউ। ”
সানজানা আরও লিখেছেন, “মেট্রো কোর্ট তার মামলা কিছুতেই শিশু কোর্টে দিতে চায়নি। অনেক চেষ্টা করে গত ৩০ জুলাই শিশু কোর্টে নেওয়া হলে ডেট দেয় আগামী ৪ আগস্ট। ৪ তারিখ কী রায় দেবে আমার জানা নেই, তবে আমি আমার ভাইকে ফিরে পেতে চাই, বেকসুর খালাস দেয়া হোক এটা চাই।”
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সাঈদ হত্যা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ ছাড়া এ নামে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এর এক ঘণ্টা পর পুলিশ কমিশনার আবার কল দিয়ে বলেন, “১৮ তারিখ তাজহাট থানায় আক্রমণ করা হলে একজনকে আটক করা হয়। তখন ভয়ে বলেনি যে, সে শিক্ষার্থী। এই বিষয়টা আমরা সহানুভূতির সঙ্গে দেখব।”
আলফি শাহরিয়ার মাহিম রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। কলেজ আইডি-১৭৬৬০, বয়স ১৬ বছর ১০ মাস।
এএইচ
আরও পড়ুন