আমদানি নিয়ন্ত্রণের নেতিবাচক প্রভাব রাজস্ব আদায়ে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২৮, ২০ মার্চ ২০২৩
আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় ব্যস্ততা কমেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। নেই কন্টেইনার জট। কমেছে জাহাজের আনাগোনাও। যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার শঙ্কায় কাস্টমস বিভাগ।
দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। রাজস্ব আদায়েরও বড় উৎস এটি। কিন্তু সম্প্রতি বন্দরের ব্যস্ততা কমে গেছে। আর বন্দরকেন্দ্রিক রাজস্ব আদায়ের আগের গতি নেই।
কন্টেইনার জটের সেই চিরচেনা চিত্র দেখা যাচ্ছে না। বাড়তি চাপ না থাকায় জেটিতেও ঢিলেঢালা অবস্থা। বৈশ্বিক সংকট ও ডলার সাশ্রয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় কমে গেছে জাহাজের আনাগোনা। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে বন্দরে ভিড়েছে ৬৫৫টি জাহাজ। আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭২৮টি।
এদিকে, কন্টেইনার ডেলিভারির সংখ্যাও কমেছে। বন্দর থেকে দৈনিক ডেলিভারি হচ্ছে ৩ হাজারের মতো কন্টেইনার। আগে হতো প্রায় সাড়ে ৩ হাজার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি-বাণিজ্য কমার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। অর্থবছরের আট মাসে ৩৯ হাজার ২শ’ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টসম হাউজ। যা আগের বছরের ১ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা বেশি। এসময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে পূরণ হয়নি লক্ষ্যমাত্রা।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “এবছর আমাদের সাড়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ গ্রোথ হয়েছে। গ্রোথ কিছুটা কমলেও তা এখনও বজায় আছে।”
বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি অর্থবছরের শেষ দিকে আমদানিসহ সার্বিক বৈদেশিক বাণিজ্যে গতি ফিরতে পারে। আর তখন রাজস্ব আদায় বাড়ারও প্রত্যাশা করছেন তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ উপ-কমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, “পরবর্তীতে পণ্য আমদানি এবং রাজস্ব দুটোরই পজেটিভ ট্রেন্ট থাকবে।”
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৭৪ হাজার ২০৬ কোটি টাকা।
এএইচ
আরও পড়ুন