আমলের তাওফিক থেকে কেন বঞ্চিত হই
প্রকাশিত : ১৫:১৮, ১০ মে ২০১৯
অনেক মানুষের ক্ষেত্রে এমন হয়, যে আমলগুলো সে আগে করতো এখন তা করা বাদ দিয়েছে। এটি একটি নিন্দনীয় বিষয়। তবে তারচেয়ে বেশি নিন্দনীয় বিষয় হলো এই অধঃপতন ও অবনতি নিয়ে চিন্তিত না হওয়া। তারচেয়ে আরও বেশি নিন্দনীয় হলো এই বিষয়গুলোকে অবনতি বা অধঃপতন বলে মনে না করা। এরচেয়েও বেশি নিন্দনীয় হলো এমন অধঃপতন ও অবনতিতে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও মনে করা যে তার সব কিছু ঠিকঠাকই আছে।
আল্লাহ তাআলা তাকে যখন সেই আমলগুলো করার তাওফিক দান করেছিলেন, তখন বেশি বেশি তাঁর শুকরিয়া আদায় না করার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। যখন আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করা হয় না, তখন বান্দাকে আমলের জায়গা থেকে সরিয়ে অবনতি আর অক্ষমতা ও নিষ্ক্রিয়তার স্থানে নামিয়ে দেওয়া হয়। তার দোষ-ত্রুটির সামনে আড়াল তৈরি করে দেওয়া হয়। ফলে মন্দ বিষয়গুলোই তার কাছে চমৎকার বলে প্রতিভাত হয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘কাউকে যদি তার অসৎ কাজ সুশোভিত করে দেখানো হয় অতঃপর সে ওটাকে ভালো মনে করে, (সে কি ওই ব্যক্তির মতো, যে ভালোকে ভালো আর মন্দকে মন্দ মনে করে?)’
‘এবং তারা ধারণা করে যে তারা ভালো কাজ করছে। (অথচ তাদের ধারণা সঠিক নয়।’
‘এভাবেই প্রত্যেক জাতির জন্য তাদের কর্মকে আমি সজ্জিত করেছি।’
‘প্রত্যেক দলই নিজেদের যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।’
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন- ‘আমি তাদেরকে ধীরে ধীরে এমনভাবে পাকড়াও করবো যে তারা জানতে পারবে না।’
এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো, সদাসর্বদা আল্লাহ তাআলার আশ্রয় গ্রহণ করা। সবসময় তাঁর যিকির করা, কুরআনুল করীম তিলাওয়াত করা, এর অর্থ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা, মুসলিমদের ইজ্জত-সম্মান রক্ষা করা, আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কাছে দোয়া চাওয়া। যাতে তারা তার জন্য পূর্বের অবস্থা ফিরে পাওয়ার প্রার্থনা করে। আশা করা যায়, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহ করে নেক আমল ও ইবাদত-বন্দেগি করার দরজা তার জন্য মুক্ত করে দিবেন।
(আবূ আবদুর রহমান আ-সুলামী, অনুবাদ-আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, আত্মশুদ্ধি গ্রন্থ থেকে)
এএইচ/