‘আমাদের বানানো বিল্ডিং রানা প্লাজার মতো ভাঙবে না’ [ভিডিও]
প্রকাশিত : ১৬:১০, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৬:১২, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
সাভারে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে হতাহত শ্রমিক পরিবারের ৩৬ শিশু এখন স্বপ্ন দেখছে লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার। বাবা-মা’র স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি দেশের জন্য কাজ করতে চায় এসব শিশু। গাইবান্ধার ‘অরকা হোমসে’ বেড়ে উঠছে এই শিশুরা। লেখাপড়া, খেলাধূলার পাশাপাশি বিনোদনেরও সুযোগ পাচ্ছে তারা।
এক সময় এই শিশুরাও ঘুমাতে যেতো মায়ের কোলে শুয়ে ঘুমপাড়ানির গল্প শুনতে শুনতে। কিন্তু ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডি ওলট-পালট হয়ে গেছে তাদের জীবনের গতিপথ। কেউ হারিয়েছে মা-বাবা দু’জনকে। আবার কারও মা অথবা বাবা হারিয়ে গেছে চিরদিনের জন্য। পরবর্তীতে এমন ৩৬ শিশুর দায়িত্ব নেয় ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন- অরকা। তাদের নির্মিত অরকা হোমসে আশ্রয় পাওয়া এসব শিশুর স্বপ্ন, বড় হয়ে দেশে এমন স্থাপনা তৈরি করা, যেখানে রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনা ঘটবে না।
এখানে শিশুদের থাকা-খাওয়াসহ রয়েছে লাইব্রেরি ও বিনোদনের ব্যবস্থা। শুরুতে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে এখানকার শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে কলেজ। রয়েছে চিকিৎসার ব্যবস্থাও। পিতৃ-মাতৃহীন এসব শিশুকে সযত্নে লালন-পালন করছে অরকা হোমস কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে গঠিত সংগঠনটি ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠা করে আরকা হোমস।
একে//
আরও পড়ুন