আমার রাজনীতিতে ফেরা এখন সময়ের দাবি: বিদিশা
প্রকাশিত : ২০:৪৭, ২ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ২২:২৯, ২ জুলাই ২০১৯
জাতীয় পার্টিতে এরশাদের বিকল্প কেউ নেই এবং তার অনুপস্থিতি কোন ভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ। তিনি বলেন, আমার তো এখনো প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। আবার রাজনীতিতে ফেরা এখন আমার সময়ের দাবি।
সম্প্রতি একুশে টেলিভিশনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিদিশা এরশাদ ইটিভিকে বলেন, জাতীয় পার্টি এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তবে তার ভাই জিএম কাদের কতটুকু তার ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন তা সময়ই বলে দেবে।
তিনি বলেন, রাজনীতি অনেক বড় একটি জায়গা। আমি আমার স্বামীর হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলাম। আমার তো এখনও প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। আবার রাজনীতিতে ফেরা এখন আমার সময়ের দাবি বলে মনে করি।
বিদিশা বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে এখন অনেকেই আসতে চায়। আমার সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করছেন। অনেকে আমাকে বলেন, আপা আপনি রাজনীতিতে আসেন। আপনি সক্রিয় হোন, আমরা আপনার সঙ্গে রাজনীতি করতে চাই। আগে যখন রাজনীতিতে ছিলাম, তখন অনেক কিছু বুঝতাম না। এখন অনেক কিছুই শিখেছি।’
বিএনপি শেষ উল্লেখ করে বিদিশা এরশাদ বলেন, ‘আমি যদি এখন জাতীয় পার্টিতে ফেরত যাই। আমি চেষ্টা করবো বিএনপিকে ভেঙ্গে তাদের নেতাদের দলে নিয়ে আসার। বিএনপি তো শেষ। তাই বিএনপির নেতারা এখন দল হারা। তাদের ভালো ভালো নেতাদের এনে সব নেতা কর্মীদের সক্রিয় করতাম। জাতীয় পার্টি তখন বিরোধী দল হিসেবে আরো ভালো ভূমিকা পালন করতে পারতো।’
জাতীয় পার্টি এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘এরশাদ সাহেবের ৯০ এর উপর বয়স হয়েছে। তিনি তো আর এখন আগের মত দলকে দিতে পারবেন না। একজন নেতা চলে যাওয়ার পরে আরেকজন আসার পর যে গ্যাপ তৈরি হয়, সেই গ্যাপ পূরণ করতে তো সময় লাগবে। অনেকে এখন নতুন চেয়ারম্যানকে সহ্য করতে পারেন না। অনেকে গ্রুপিং করছেন, এগুলোই কিন্তু দলের জন্য ক্ষতি ডেকে আনবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এরশাদ সাহেব ওনার ভাইকে তার জায়গায় বসিয়েছেন আমি এটিকে স্বাগত জানাই। এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। আমি আশা করবো ওনিও এরশাদ সাহেবের মত সারাদেশ ঘুরবেন, সব নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। এছাড়া যাদের জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে তাদেরও ফিরিয়ে আনবেন। এখন যিনি মহাসচিব আছেন তিনি অবশ্যই একজন ডায়নামিক মানুষ বলে মনে করছি।’
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক এই স্ত্রী বলেন,‘জাতীয় পার্টিতে তো এখন আমি সেভাবে নেই। যখন আমি ছিলাম তখন সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেছি। আমি সবাইকে একসাথে সমন্বয় করেছি। বিএনপির রোষানলে পড়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হয়েছে আমাকে। আমার সঙ্গে জেল জুলুম অত্যাচার সবই হয়েছে। প্রায় ১০ বছর সক্রিয় না থাকলেও আামি সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছি।’
মহাজোট করতে চেয়েছি বলে, আমাকে বিএনপির তারেক ও বাবরের কারণে রাজনীতি থেকে নিষ্কিয় করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির একটি গ্রুপ ছিলো যারা তখন বিএনপির পক্ষে কাজ করতো। তারা এখনও এই সরকারের সঙ্গেও সক্রিয় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এনএম/এসি
আরও পড়ুন