‘আমি আমার নাফসের উপর যুলুম করেছি, তুমি আমাকে ক্ষমা কর’
প্রকাশিত : ১৭:১১, ৯ এপ্রিল ২০২০
শরীর আর বুদ্ধির ব্যাপারটা সবাই অবগত হলেও রূহ বা নাফস হয়ত অতটা পরিচিত নয়।
রূহ কি?
মহান আল্লাহ বলেন, ‘লোকেরা আপনাকে রূহ বা আত্মা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে জানতে চায়। আপনি বলে দিন রূহ হচ্ছে আমার প্রতিপালকের নির্দেশ মাত্র। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।’ [সূরা বনী ইসরাইল ৮৫]
যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও এ বিষয়ে সামান্য কিছু জ্ঞান দেওয়া হয়েছে আমরা আর বেশি কী করে জানব! সহজ কথায় রূহ আল্লাহর একটা নির্দেশ মাত্র যার উপস্থিতি মানব দেহে প্রাণের সঞ্চার করে।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয় এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ হয়।’[সূরা আশ শামস ১০]
সুতরাং সফল হতে হলে নিজেকে শুদ্ধ করতে হবে। আর নিজেকে কিভাবে শুদ্ধ করতে হয় তা জানতে হলে আমাদের প্রথমে নিজেকে জানতে হবে। মানুষের সত্ত্বা মূলত: তিনটি বিষয়ের সমন্বয়-
১) শরীর বা বদন
২) আকল বা বুদ্ধি
৩) রূহ বা নাফস।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ‘নাফস’ শব্দ ব্যবহার করে তাঁর রব্ব আল্লাহর নিকট যেভাবে দো’য়া করেছেন এবং যেভাবে আমাদের দো’য়া শিক্ষা দিয়েছেন, আমরাও সেই ভাবে দো’য়া করব।
১. হে আল্লাহ! তুমি আমার নাফসের সৃষ্টিকর্তা।
২. হে আল্লাহ! আমি আমার নাফসের উপর যুলুম করেছি; তুমি আমাকে ক্ষমা কর।
৩. হে আল্লাহ! আমি আমার নাফসকে তোমার নিকট সমর্পণ করলাম।
৪. হে আল্লাহ! ঘুমের মধ্যে আমার মৃত্যু হলে আমার নাফসের উপর রহম কর।
৫. হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি তোমার নিকট আমার নাফসের মন্দ থেকে।
৬. হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার নাফসের উপর মূহুর্তের জন্যেও ছেড়ে দিও না।
৭. হে আল্লাহ! তুমি আমার নাফসে তাক্বওয়া দাও এবং তাকে পবিত্র কর।
৮. হে আল্লাহ! আমি যেন আমার নাফসকে এমন দূর্যোগের মধ্যে না ফেলি যা সামলানোর ক্ষমতা আমার নেই।
(সূত্র : বুখারী শরীফ, তিরমিযী শরীফ এবং হিসনুল মুসলিমিন)
এসএ/