আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী: প্রতিমন্ত্রী পলক
প্রকাশিত : ১৩:৫৯, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইকে অপহরণ করে মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা চেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচার হবে। কেউ ছাড় পাবে না।’
আহত দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার সকালে তাকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে উড়োজাহাজে করে রাজশাহী বিমানবন্দরে যান। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে। এ সময় তার সঙ্গে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ছিলেন। তিনি অসুস্থ দেলোয়ার হোসেন ও তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন।
এ ছাড়া তিনি দায়িত্বরত চিকিৎসকের কাছে তার শরীরের খোঁজখবর নেন এবং সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানান। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘আমি বিদেশে ছিলাম। বৃহস্পতিবার রাত একটায় দেশে ফিরেছি। তবে বিদেশে থেকেও ঘটনার সব সময় খোঁজখবর নিয়েছি। আমি ভাবতেও পারিনি নাটোরের মাটিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে। এ ঘটনায় আমি লজ্জিত, দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনার খোঁজখবর রাখছেন। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিচার হবে, কেউ ছাড়া পাবে না।’
ওই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের ভাই অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে একজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও নির্বাচনের প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ হয়ে তারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘লুৎফুল হাবীব আমার আত্মীয় তা অস্বীকার করবো না। তবে আত্মীয়তার সুবাদে বা রাজনৈতিক কারণে সে বা অন্য কেউ বাড়তি সুবিধা পাবেন না। বরং এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যা এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমরা দলের পক্ষ থেকেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে নাটোর জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ করে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে দুর্বৃত্তরা দেলোয়ার হোসেনকে মুমূর্ষু অবস্থায় তার গ্রামের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব ও তার সহযোগীরা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। লুৎফুল হাবীব উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের শ্যালক।
এএইচ
আরও পড়ুন