ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

আমিরাতে সাধারণ ক্ষমা পেয়েছে ৪০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি। গত ৫ মাসে এতো সংখ্যক বাংলাদেশি এই সুযোগ নিয়েছেন। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশন প্রধান এ খবর জানান।
শুরুতে গত ১ অগাস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশটিতে চলা ৩ মাসব্যাপী অ্যামনেস্টি বা সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশটিতে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীদের বিনা জেল জরিমানায় আমিরাত ত্যাগের কিংবা এখানে তাদের অবস্থান বৈধ করে নেওয়ার সুযোগ আসে, যা অনেকের মতো বাংলাদেশিদের জন্যও স্বস্তির সংবাদ হয়।
ধারণা করা হয় যে বৈধভাবে এদেশে এসে বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা মোট জনশক্তির ১০ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘এককভাবে আমাদের দেশের অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা, ফিলিপাইনসহ আমিরাতে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের মোট অভিবাসীদের চেয়েও বেশি।’
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রথম দিন থেকে আবুধাবি দূতাবাসে ২-৩ হাজার সেবাপ্রত্যাশী এবং দুবাই কনসুলেটে তার দ্বিগুণ সংখ্যক প্রবাসী ভিড় করতে থাকেন নানা সমস্যা নিয়ে। দূতাবাস তাদের নিয়মিত কনসুলার সার্ভিসের পাশাপাশি এ বিশাল সেবাপ্রত্যাশীদের চাপ মোকাবেলায় ছুটির দিনসহ প্রতিদিন ১০/১২ ঘণ্টা করে কাজ করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে থাকে।
তাছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে প্রকৃত অর্থে সাধারণ ক্ষমা সংক্রান্ত কাজে সমন্বয় সৃষ্টিতে হয় কিছুটা কালক্ষেপণ। আমিরাত প্রান্তে সবকিছু খানিকটা শৃঙ্খলায় ফিরে এলেও বাংলাদেশ প্রান্তে পুলিশ ভেরিফিকেশন পাওয়াসহ পাসপোর্ট অফিসের নানা জটিলতায় শ্লথ হয়ে পড়ে কাজের গতি। তাতে সাধারণ ক্ষমা প্রত্যাশীদের মধ্যে নেমে আসে হতাশা।
সাধারণ ক্ষমার নির্ধারিত তিন মাস সময়ের মধ্যে প্রবাসীরা তাদের পাসপোর্ট পাবেন কিনা সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এসময় রাষ্ট্রদূতের প্রচেষ্টায় আমিরাত সরকার সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ পরপর দুইমাস বাড়াতে রাজি হলে স্বস্তি ফিরে পান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান জানান, সাধারণ ক্ষমার ৫ মাসে আবুধাবি দূতাবাস ও দুবাই কনসুলেট থেকে ৩৫ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে ‘মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট’ (এমআরপি) সুবিধার আওতায় আনা  হয়েছে, প্রায় ৫/৬ হাজার অভিবাসীকে দেশে ফিরে যাবার জন্য আউটপাশ দেওয়া হয়েছে। যাদের হাতে পাসপোর্ট ছিল তারা সহজেই আমিরাত সরকারের দেওয়া ৬ মাসের জব-সিকার্স ভিসা দিয়ে নতুন স্পন্সর খোঁজার সুযোগ পেয়েছেন, বৈধ করে নিচ্ছেন তাদের অবস্থান।
তিনি প্রবাসীদের সতর্ক করে জানান, তারা যেন তাদের দেওয়া ৬ মাসের জব-সিকার্স ভিসা নিয়ে বসে না থাকেন। কারণ এই ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তারা বৈধ হবার আর কোনো সুযোগই পাবেন না।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি