ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

আমৃত্যু মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই : দিদারুল আলম এমপি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৮, ১৯ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৪৫, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭

আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি

আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি

পৃথিবীতে কিছু মানুষের জন্ম নিজের তরে নয়, মানুষের উপকারের জন্য। তারা মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান।

এমন মানুষ আগে পাওয়া যেত ঢের। কিন্তু এখন এমন মানুষ দিন দিন কেন জানি কমে যাচ্ছে। মানুষ যার যার চিন্তা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। তবে নানা রঙে-রূপে ও উপাদানে সাজানো বৈচিত্রময় এ সমাজে ব্যতিক্রম কিছু মানুষ আছে বলেই হয়তো সামাজিক কাঠামো টিকে আছে।

পাঠক, আজ ব্যাতিক্রম এমন একজন মানুষের কথা তুলে ধরব, যিনি নিজে এবং তার পরিবার বংশ পরম্পরায় সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছেন। নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ-সম্পদ বিলাসিতায় ব্যয় না করে দু:খী-অসহায়-দরিদ্র মানুষের কল্যাণে অকাতরে ব্যয় করে আসছেন। চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার ও তাদের অবদান এককথায় অতুলনীয়।

তিনি আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও পাহাড়তলীর একাংশ) আসন থেকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এমপি হওয়ার পর তার দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে যায়। সমাজসেবার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন তার ব্রত হয়ে উঠে। মানুষের জন্য কাজ করার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পান।

স্বস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য নয়, এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে-উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেন দিদারুল আলম। মানুষের ভালোবাসা ও আস্থাকে পুঁজি করে সামনে এগিয়ে চলছেন বিরামহীন। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি তিনি চট্টগ্রাম-৪ তথা চট্টগ্রামবাসীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম এমপি দিদারুল আলমের। ব্যবসার দিকেই ঝোঁক ছিল। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণসহ নানা কাজে সহযোগিতার হাত বাড়ান। দু:খী-অসহায় মানুষকে যথাসাধ্য সহায়তা করতে থাকেন। তিনি ও তার পরিবার প্রায় অর্ধশত শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেগুলো থেকে উপকৃত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

দিদারুল আলম একটা পর্যায়ে এসে দেখলেন বৃহত্তর পরিসরে সমাজসেবা করতে হলে এবং এলাকার উন্নয়ন এগিয়ে নিতে একটা প্লাটফর্ম দরকার। তাই তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সীতাকুণ্ডের রাজনৈতিক বিভিন্ন মহলে কথা বলে জানা গেছে, দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবের সময় চট্টগ্রাম-৪ আসনটি ছিল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসনটি প্রশাসনের কাছে যেমন ছিল ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি আওয়ামী লীগের হাইকমাণ্ডের কাছেও আসনটি ছিল ঝুকিপূর্ণ। ফলে হাইকমাণ্ড এমন এক নেতৃত্ব খুঁজছিলেন ‍যিনি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিজ যোগ্যতায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন। অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ও রাজনৈতিক নানা হিসেব-নিকেশের পাঠ চুকিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দেন আলহাজ্ব দিদারুল আলমকে।

দিদারুল আলম সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে থেমে যাননি। তিনি সাহসিকতা ও তার কাজের পরিধি বরং আরো অনেক গুণ বেড়ে যায়। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক এ দুটোর মধ্যে কোনটি আপনার আসল পরিচয়? স্বভাবজাত হাসি মুখে বলেছেন, সমাজসেবা করার জন্যই রাজনীতিতে এসেছি। এতে একটা সুবিধা হচ্ছে। রাজনীতির মাধ্যমে সমাজসেবার পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের অসঙ্গতিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এলাকার গরীব দু:খী মানুষ গুলোকে আগলে রাখতে পারছি। নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে বলতে পারছি। রাজনীতি করছি মানুষের পক্ষ হয়ে লড়াই করার জন্য। তাদের সুখের জন্য। সমাজসেবা যেমন মানুষের উপকারের জন্য, তেমনি রাজনীতি ও মানুষের উপকারের জন্য।

২০১২-’১৩ সালে জামায়াত-বিএনপির তাণ্ডবের সময় সীতাকুন্ড ছিল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে রোষানলের শিকার। এ সময় প্রতিনিয়ত জ্বালা-পোড়াও ও হামলার শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদেরকে। দলীয় নেতাকর্মীর বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। ২০১৪ সালে পুরোটাই ছিল নৈরাজ্যের বছর। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ দিনের বেলায়ও ঘর থেকে বের হতে ভয় পেতো।

এমপি দিদারুল আলমের কিছু কাজ

সন্ত্রাস দমন

দিদারুল আলম সংসদ সদস্য হয়েই কঠোর হাতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তিনি সন্ত্রাসীদের তালিকা করে তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করেন। এমনকি দলের কিছু বিপদগামী যুবককে সঠিক পথে ফিরিয়ে এনে তাদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেন।

এলাকার উন্নয়ন

দিদারুল আলম সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হওয়ার পর ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ কাজ করেছেন, যেটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। বাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেড়ীবাঁধটির জন্য সাড়ে সতের কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ চলছে। পল্লীবিদ্যুত অফিস সংলগ্ন ভোকেশনাল কলেজটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। যেটি নির্মাণে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল কলেজে আঠার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। শেখপাড়া রাস্তার কাজ জন্য বরাদ্দ আছে সাড়ে এগারো কোটি টাকা। এছাড়া আরো অনেকগুলো কাজ বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে।

এছাড়া সীতাকুন্ডের দুটি বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে। মুরাদপুর ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর ইউনিয়নে দুটি সামুদ্রিক বন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। এর ফলে এলাকায় প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বেকারত্ব নামবে শূন্যের কোটায়।

এমপি দিদারুল আলম পারিবারিক অর্থায়নে উত্তর সীতাকুণ্ডের ছোট দারোগাহাট এলাকায় ১০০ শতক জমির উপর  স্থাপন করেছেন ’তাহের- মঞ্জু কলেজ’। এটি পরিচালণার ব্যায়ভার সম্পূর্ণ তিনি নিজে বহন করছেন। এই এলাকায় একটি কলেজ দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুন্ডবাসীর দাবি ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প শতভাগ বিদ্যুতায়ন। প্রকল্পটি দিদারুল আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এরইমধ্যে সীতাকুণ্ডেও বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দিদারুল আলম বলেন, এলাকাবাসী তাদের নিজেদের চাহিদা  ও সমস্যা সম্ভাবনা যদি আমার কাছে তুলে ধরে তাহলে আমি অবশ্যই তাদের দাবি পূরণে কাজ করব। টাকা কোনো সমস্যা না। আল্লাহ অনেক দিয়েছেন। টাকার জন্য, সরকারী বরাদ্দের জন্য কোনো কাজ আটকে থাকবে না। তবে আমি চাই জনগণ আমাকে বলুক, তাদের কী দরকার।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে আপনারা সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখতে পারেন। জনগণের চাহিদা আমাদের সামনে তুলে ধরেন।

রাজনীতিবিদ হিসেবে সফলতা

মাওলানা ভাষানী যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি তখন দিদারুল আলমের পিতামহ কাট্টলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ছত্রিশ বছর তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা ফাউণ্ডেশন এর অনুমোদন নেন। এর অধীনে আমরা ’বঙ্গবন্ধু বিদ্যাপীঠ’ চালু করি। চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকায় স্কুলটি অবস্থিত।

সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনেও দিদারুল আলম সফলতার পরিচয় দিচ্ছেন। স্থানীয় অন্তর্কোন্দল নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাঝে কোনো কোন্দল নেই। যা আছে তা ভুল বুঝাবুঝি মাত্র। বড় দল হিসেবে তা কিছুটা থাকবেই। দলের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক –আমি একসঙ্গে মিলে মিশে কাজ করছি। জেলা নেতৃবৃন্দ আমাদের সমর্থন দিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিদারুল আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য বজায় রাখা আমার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দায়িত্ব। আগামী নির্বাচনে যিনি মনোনয়ন পাবেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার জন্য কাজ করব। আমরা নৌকা বুঝি।

সমাজসেবক দিদারুল আলম

দিদারুল আলম রক্তেই বহন করছেন সমাজসেবার বীজ। মানুষের জন্য তার অন্তরে রয়েছে গভীর ভালবাসা। রাজনীতি করার জন্য বা লোক দেখানোর জন্য নয়, বরং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও স্রষ্টার প্রতি ভয় রেখে শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য চিকিতসা ক্ষেত্রে বায়ান্নটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু নিজের নির্বাচনী এলাকায় নয় বরং দেশের বিভিন্ন জায়গায় তা অবস্থিত। আজকের বাংলাদেশে যখন সবাই বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারী হাসপাতাল স্থাপন করে সেখানে তিনি ও তার পরিবার কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন মানুষের জন্য। নিজের ও পারিবারের অর্থায়নে পরিচালনা করছেন প্রায় অর্ধশত শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হল-

১.আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ডিগ্রী কলেজ, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম।

২.তাহের– মঞ্জু কলেজ, ছোট দারোগারহাট, সীতাকুণ্ড।

৩. আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম কিণ্ডার গার্টেন এণ্ড হাই স্কুল, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম।

৪.আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম কিন্ডার গার্টেন স্কুল, নিউ মনসুরাবাদ, চট্টগ্রাম,

৫.আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ফোরকানীয়া মাদ্রাসা, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম,

৬.নূরানী জামে মসজিদ, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম,

৭.তৈয়বিয়া জামে মসজিদ,উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম,

৮. মসজিদ ই গাইছুল আযম, সোনাইছড়ি, সীতাকুণ্ড,

৯. আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ফোরকানীয়া মাদ্রাসা, কলেজ রোড, উত্তর কাট্টলী,

১০.আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম সিটি কর্পোরেশন মাতৃসদন হাসপাতাল,উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম,

১১. আলহাজ্ব আবদুল জলিল জামে মসজিদ, ডাবল মুরিং, চট্টগ্রাম,

১২.তেহারিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম,

১৩.আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম চ্যারিটেবল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম,

১৪.আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম অরফানেজ, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম,

১৫. আহমেদিয়া এবাদতখানা,

১৬.মুনিরীয়া এবাদতখানা,

১৭.চিস্তিয়া এবাদতখানা,

১৮.রহমানিয়া এবাদতখানা,

১৯.ইমাম আবু হানিফা (রা) এবাদতখানা,

২০.হযরত খিজির (আ) এবাদতখানা,

২১. আম্বিয়া খাতুন ফোরকানীয়া মাদ্রাসা, মনসুরাবাদ,চট্টগ্রাম,

২২ .হযরত ডাল চাল মিয়া ফোরকানীয়া মাদ্রাসা, কুমিরা, চট্টগ্রাম,

২৩.আলহাজ্ব শামদু ‍মিয়া এবাদতখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা,দেওয়ানহাট, চট্টগ্রাম,

২৪.বায়তুল আমান নূরানী মাদ্রাসা,

২৫.ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট ফর বস্তিবাসী, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম,

২৬. মোস্তফা হাকিম এমপ্লয়ীমেন্ট প্রজেক্ট, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম,

২৭.বঙ্গবন্ধু বাংলা স্কুল, চট্টগ্রাম,

২৮.সিদ্দিকী আকবর মসজিদ, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম,

২৯.হযরত উমর ফারুক জামে মসজিদ, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম,

৩০.১০নং ওয়ার্ড অফিস প্রার্থনা কক্ষ, চট্টগ্রাম,

৩১.আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম অরফানেজ,

আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম কলেজ রোড, চট্টগ্রাম।

৩২. আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম দুস্থ ্ও বয়স্ক চিকিতসা ভাতা প্রকল্প,

৩৩. মসজিদ এ বেলাল, জুলধা, দাঙ্গার চর, চট্টগ্রাম।

৩৪.সেবাখোলা কালী মন্দির, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম।

৩৫. মোস্তফা হাকিম কো- অপারেটিভ সোসাইটি,

৩৬.বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, দুনাত, ঘোষাইবাড়ী,বগুড়া,

৩৭. চম্পা-ইউসুফ ফোরকানীয়া মাদ্রাসা,দঙ্গারচর, জুলদা, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম,

৩৮. আলহাজ্ব আক্কেল আলী সওদাগর ফোরকানীয়া মাদ্রাসা,

৩৯.আফিয়া খাতুন প্রবীণ নিবাস, দেওয়ানহাট, চট্টগ্রাম,

৪০.আরেফীন নগর হযরত উমর ফারুক জামে মসজিদ, জঙ্গল সলিমপুর, চট্টগ্রাম,

৪১.নবীনগর আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম জামে মসজিদ।

এছাড়া আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে তার ও তার পরিবারের প্রতিষ্ঠিত।

ব্যক্তিগত জীবনে আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি সততার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের অনেক এমপি মন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও দিদারুল আলমকে তার নির্বাচনী এলাকার লোকজন একজন সৎ মানুষ হিসেবেই চেনে। শিক্ষানুরাগী দিদারুল আলম এমপির পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানতে তার মুখোমুখি হয় একুশে টিভি অনলাইন।  

একুশে টিভি অনলাইন: রাজনীতি ও সমাজসেবা, কোনটি আপনার আসল ব্রত?

দিদারুল আলম: আমি আজীবন মানুষের সঙ্গে থাকতে চাই। মানুষের জন্য কাজ করে, মানুষের জন্য মরতে চাই।

একুশে টিভি অনলাইন: আপনার নির্বাচনী এলাকা সীতাকুণ্ডকে নিয়ে কী ভাবছেন?

দিদারুল আলম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুরো দেশটাকে সাজানোর দায়িত্ব নিজের কাধে নিয়েছেন। আমরা সেই দায়িত্বের অংশীদার মাত্র। ইনশাল্লাহ, যদি আবার সুযোগ পাই, তাহলে সীতাকুন্ডকে হিন্দুদের জাতীয় তীর্থস্থান ঘোষণার জন্য কাজ করব। আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে সীতাকুণ্ড বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। ইনশাল্লাহ, আগামীতে সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজ ও বিজয় স্মরণী কলেজকে জাতীয়করণ করা হবে। পর্যটন এলাকা হিসেবে সীতাকুণ্ড যেন দেশী-বিদেশী পর্যটকদের  আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেব। সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসা যাওয়ার জন্য বিকল্প বাস ও ট্রেনের ব্যবস্থা করব। একটি ট্রেন, যেটি শুধুমাত্র সীতকুণ্ড ও চট্টগ্রাম শহরে আসা যাওয়া করবে। সীতাকুন্ড শিল্পনগরী হলেও এখানে পরিকল্পিতভাবে সীতাকুণ্ডের ছেলেদের জন্য কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। সেই উদ্যেগটি নেওয়া খুব দরকার।

একুশে টিভি অনলাইন: সমাজসেবা নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

দিদারুল আলম: আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন কে পাবেন, কে পাবেন না তা উপরে আল্লাহ ভালো জানেন। আর জানেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে আমি মাননীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন অনুগত কর্মী। তার নেতৃত্বে যতদিন বাচব ততদিন জনগণের পাশে থাকব।

একুশে টেলিভিশন অনলাইন: এই যে নি:স্বার্থভাবে একের পর এক প্রতিষ্ঠান করে যাচ্ছেন, এর বিনিময়ে কী পাচ্ছেন?

দিদারুল আলম: আল্লাহর রহমত আর জনগণের দোয়া ও  ভালোবাসা। আমি এখানে উছিলা মাত্র। যা হচ্ছে আল্লাহর হুকুমে হচ্ছে। আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়েনা।

একুশে টিভি অনলাইন: আমাদের সময় দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

দিদারুল আলম: আপনাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ। একুশে টিভি অনলাইনের জন্য শুভকামনা।

/ এআর /

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি