আর্জেন্টিনার রক্ষণে ত্রাস ছড়াতে পারেন এমবাপ্পে
প্রকাশিত : ১৫:২৭, ৩০ জুন ২০১৮
দুই দশক আগে নিজ দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপে ফ্রান্স বিশ্বকাপ ফাইনালে হারিয়েছিল ব্রাজিলকে। আজ আরেক বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে যখন প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা, তখন ফ্রান্সের অনেক বড় ভরসা ২০ না পেরোনো এমবাপ্পেই।
ফ্রান্স দলের তারকা এমবাপ্পে যে ফুটবলে বড় নাম হতে চলেছেন, সেটি তো দুই মৌসুম ধরেই বহুল চর্চিত বিষয়। মোনাকোতে শুরু, গত মৌসুমে পিএসজিতে এমবাপ্পে আলো ছড়িয়েছেন। এই বিশ্বকাপে যে তরুণেরা সবচেয়ে বেশি আলো ছড়াবেন ভাবা হচ্ছিল, সে তালিকায়ও এমবাপ্পে ছিলেন ওপরের দিকেই।
সাবেক ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার ডেভিড ত্রেজেগে তো এমনও বলেছেন, এমবাপ্পে আর গ্রিজমানের ক্ষমতা আছে থিয়েরি অঁরিকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার! কিন্তু এখন পর্যন্ত তার পারফরম্যান্স পুরো ফ্রান্স দলের পারফরম্যান্সেরই ছায়া যেন। তিন ম্যাচের দুটিতে শুরু থেকে খেলেছেন এমবাপ্পে, একটিতে নেমেছেন বদলি হয়ে। গোল শুধু একটিই, পেরুর বিপক্ষে। তা-ও স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরুর শট গোলকিপার ঠেকিয়ে দেওয়ার পর ফিরতি বল জালে জড়িয়ে।
তবে এর জন্য ফ্রেঞ্চ কোচ দিদিয়ের দেশমের কৌশলকেই দায়ী করা হচ্ছে। দলের গঠন, রক্ষণ আগে ঠিক রাখা...এসব চিন্তা করতে গিয়ে তিনি নাকি এমবাপ্পে-গ্রিজমান-পগবা-ডেম্বেলের মতো সৃষ্টিশীল খেলোয়াড়দের পুরো স্বাধীনতা দিচ্ছেন না।
পিএসজিতে নেইমার-কাভানির পাশে যে এমবাপ্পেকে দেখা যায়, ফ্রান্সের ৪-৩-৩ ছকে তা যায় না। ওই রক্ষণের দায়িত্ব নিতে হয় বলেই। তবু দল তো আগে! কাল সংবাদ সম্মেলনে দেশমও বললেন, এটা আসলে ত্যাগের ব্যাপার নয়। বাস্তবতাটা বুঝতে হবে। বল দখলে রাখতে হবে, দলের গঠন ধরে রাখতে হবে। যখন আপনি বল দখলে রাখবেন, সৃষ্টিশীলতার সুযোগ এমনিতেই আসবে। সেটা নিজে নিজে তৈরি করে নিতে হয়।
এরপর এমবাপ্পেকে নিয়ে বললেন, ও প্রথম ম্যাচে অনেক স্বাধীনতা পেয়েছিল, কিন্তু সেদিন ও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেনি। এসব ওর জন্য কোনো ব্যাপারও নয় আসলে। কারণ, ও সেদিন অনেক বেশি খেটে খেললেও একটা গোল করেছে, আরেকটা গোলের সুযোগ পেয়েছে।
এমবাপ্পের ২০ বছর বয়সী কাঁধে আজও হয়তো দায়িত্ব তা-ই থাকবে। তবু একটা চোখ থাকবে তার পায়ের জাদুর খোঁজে, গোলের খোঁজে। সেটা করতে পারলে উৎসব হবে ফ্রান্সে, তার শহর বন্ডিতেও।
আরকে//