আর্থিক বাজারকে সুসংহতকরণ আবশ্যক
প্রকাশিত : ২০:২৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং সেক্টরের ইতিবাচক ভূমিকা বহুলভাবে আকাক্সিক্ষত। করোনাকালে কোন কোন ব্যাংক কিছু প্রণোদনা প্যাকেজের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথ অবলম্বন করলেও কোন কোনটি আবার করেনি। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন যে, ব্যাংকিং ও নন ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি ঠেকাতে তার প্রতিষ্ঠান রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। দুদক প্রধানের এ বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিবেচনায় আনতে হবে।
কেননা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই দুর্নীতির প্রতি আপোসহীন। তাঁর আমলেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়-এ মাসেই হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের তথ্য চাপা দেয়ার অভিযোগ থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালককে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও একজন সাবেক ডেপুটি গবর্নরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে। এমনও অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদেরও ‘মাসোহারা’ হিসেবে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা করে দেয়া হতো লিজিং কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে। মাছের যেমন পচন ধরে মাথায়, তেমনি ব্যাংক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে দুদকপ্রধান মন্তব্য করেছেন যে, ব্যাংকিং খাতের হিসাব পাওয়া গেলেও নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। ইকবাল মাহমুদ আরও মন্তব্য করেছেন যে, পি কে হালদারের মতো ব্যক্তিরা শেষোক্ত কারণে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে নিয়ে যেতে পেরেছেন। তার এ উক্তি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। যখন হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে যায় তখন এটি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত এবং কর্মসংস্থানের কাঠামোকে সঙ্কুচিত করে থাকে। দেশের কোন দায়িত্বশীল পদে ঋণ খেলাপী একবার হলেও তাকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দেয়া উচিত নয়। কেননা ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে কঠোর না হলে তারা গিরগিটির মতো রং পাল্টাতে পারে। যে কোন ধরনের ক্রীড়া তত্ত্বের মতো তারা প্রায়োগিক কলাকৌশল প্রয়োগ করে অর্থ পাচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
এদিকে সরকার যখন কষ্ট করে অর্থনীতিকে বৈশ্বিক মহামারীর হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে তখনও ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশান অব ব্যাংকসের দাবির অন্ত নেই। তারা কোন ধরনের ডাউনপেমেন্ট না দিয়ে চলমান সব ঋণ তিন বছর মেয়াদের জন্য পুনঃতফসিলীকরণের সুযোগ চেয়েছে। আবার বিদ্যমান ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যে বাড়তি দু’বছর সময় দিয়েছে তা তিন বছর করার জন্য দাবি জানিয়েছে। এ ধরনের দাবি আসলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করার একটি অপপ্রয়াস। রাষ্ট্রব্যবস্থায় যখন সুন্দরভাবে গণতান্ত্রিক উপায়ে সবাইকে নিয়ে চলার প্রয়াস নেয়া হয়েছে, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস করার চেষ্টা চলছে, তখন বিত্তশালীরা যদি সময়মতো ঋণ পরিশোধ না করেন তখন কিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন সম্ভব? পুঁজিবাজারকে এখন পর্যন্ত দেখলাম না দেশের এসএমই সেক্টরে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ দেয়ার জন্য। কতদিন ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগ দ্বারা পুঁজিবাজারকে টেকসই করা যাবে? এডিবির রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সামগ্রিকভাবে এশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সরবরাহ-চাহিদা হ্রাস করার নিমিত্তে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানসমূহকে উন্নত করার লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রয়াস গ্রহণ করা উচিত। যদিও ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে এসএমই সেক্টরে অর্থায়নের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে তা মূলত অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমেই বিস্তার লাভ করেছে।
মহামারীর সময় সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ এসএমই খাতের ক্ষেত্রে বাস্তবায়নে ব্যাংকিং খাতের অনীহাই পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিকে পর্যাপ্ত অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত ব্যাংকিং ঋণদান কর্মসূচীর বাইরে নতুন ধরনের প্রয়াস ও বৈচিত্র্যমণ্ডিত উপায়ে অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা দেশে রয়েছে, যাতে করে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। এডিবি এসএমই খাতের সম্প্রসারণ ও টেকসইয়ের জন্য পুঁজিবাজারের সাহায্যে দীর্ঘমেয়াদী তহবিলের ব্যবস্থাপনা এবং শক্তিশালী মূলধনের উদ্যোগ করে বাজার ব্যবস্থায় বিকল্প চ্যানেলে এসএমই খাতে মূলধন সরবরাহের সুপারিশ করেছে। আসলে অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় গড়ে ওঠা এদেশের এসএমই-এর মূল ব্যবস্থাসমূহকে ধীরে ধীরে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। যার জন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের গুরুত্ব রয়েছে।
এসএমই-এর মূলধন বাজারকে ব্যবহার করার জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালার আলোকে নানাবিধ অর্থায়ন পদ্ধতির অধীনে চ্যালেঞ্জসমূহকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য পরিশীলিত এবং উদ্ভাবনী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা প্রয়োজন। ইক্যুইটি বাজার সৃষ্টি এবং সামাজিক মূলধন বিকাশের ওপর গুরুত্ব আরোপের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে একযোগে কাজ করতে হবে। এসএমই অর্থায়নের ক্ষেত্রে ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোগের অর্থায়ন ও সাধারণ ব্যবসা অর্থ-বাজারের একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা দরকার, যেখানে বিভিন্ন ধরনের সংস্থাগুলোর মূলধন সরবরাহ করা, অর্জন করা এবং কোলাটেরালমুক্ত ব্যবসা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ বিকাশের জন্য আর্থিক পরিকাঠামোর আওতায় গড়ে তোলা যায়। দেশে ঋণ খেলাপীদের জন্য চীনের একটি উদাহরণ ব্যবহার করা যেতে পারে। চীনে কেউ কোন ঋণ খেলাপীকে ফোন করলে মোবাইলে প্রথমে যা বলা হয় তার সারমর্ম হচ্ছে আপনি যার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন তিনি একজন ঋণ খেলাপী।
এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমাদের দেশে ঋণ পরিশোধ না করেও গাড়ি-বাড়ি হাঁকিয়ে বহালতবিয়তে থাকার যে বদ অভ্যাস পঁচাত্তর পরবর্তীতে গড়ে উঠেছে ক্রমশ তা সম্প্রসারিত হয়েছে এক্সপনেন্সিয়াল (সূচক) হারে। আসলে ঋণ খেলাপী সংস্কৃতি এদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ঋণ খেলাপী সংস্কৃতির কারণে যে দুষ্টচক্র দেশে গড়ে উঠেছে তা আমাদের দেশের বিকাশমান অর্থনীতির গতি-প্রকৃতিকে বিনষ্ট করছে। বস্তুত আর্থিক বাজারের স্থিতিশীলতার বিকাশ করতে হলে এমনভাবে অর্থনীতির মৌলিক উপদানসমূহকে বিবেচনায় আনতে হবে, যাতে করে আর্থিক সম্পদের দামের উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি না ঘটে এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনরূপ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয়। ফলে অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তহবিল বৃদ্ধি এবং পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। আর্থিক ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য অবস্থা বিরাজ করছে কিনা তার সূচকগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কর্তৃক বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত।
এর মধ্যে রয়েছে নিয়ন্ত্রক পুঁজি ও ঝুঁকির ওজনযুক্ত অনুপাত; মোট খেলাপী ঋণ এবং মোট ঋণের অনুপাত ভালভাবে বিবেচনা করে দেখা, যাতে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে কর্মদক্ষতার সঙ্গে সৃজনশীল উপায়ে সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুসংহত হলে দেশের ক্রমবিকাশমান অর্থনীতি টেকসই হয়ে থাকে। কেবল স্বল্প সময়ের জন্য বুদবুদের মতো অর্থনীতিতে আর্থিক খাতের সূচকগুলো ভাল হলো, কিন্তু পরবর্তীতে সেখান থেকে অর্থ পাচার হয়ে গেলে তা একটি দেশের অগ্রযাত্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ সরকার প্রয়াস নিচ্ছে মুদ্রাবাজার এবং পুঁজিবাজারকে সঠিক পথে চালাতে। তবে যাদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছে তারা কতটুকু দায়িত্বশীল হয়েছে সেটি এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
এ মুহূর্তে এশিয়ার আর্থিক সঙ্কটের কথা বিবেচনায় রাখা দরকার, যা পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ অংশে ১৯৯৭ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়েছিল ও আর্থিক সঙ্কটের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কাকে বৃদ্ধি করেছিল। ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড এই সঙ্কটের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ১৯৯৭-৯৮ সালে এশিয়ার আর্থিক সঙ্কট মূলত থাইল্যান্ডে শুরু হয়েছিল এবং তারপর তা দ্রুত প্রতিবেশী দেশসমূহের অর্থনীতিকে আক্রান্ত করে। এই মুদ্রার সঙ্কট শুরু হয়েছিল যখন থাইল্যান্ডে থাই বাথকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সঙ্গে আনপেগ করেছিল, একাধিকবার থাই বাথের অবমূলায়ন করেছিল এবং মূলধন দেশ থেকে বাইরে পাচার হয়ে গিয়েছিল। এশিয়ার মুদ্রা সঙ্কটের সময়ে ইন্দোনেশিয়ার অবস্থাও করুণ হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আর্থিক সঙ্কট চলছে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুদ্রা পাচার বন্ধ হওয়াটা জরুরী হয়ে পড়েছে।
করোনাপূর্বকালেই খেলাপী ঋণ সংস্কৃতি বাংলাদেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করোনাকালে জীবন এবং জীবিকার মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের বহিস্থ দেনার পাশাপাশি দেশীয় মূলধনের বহিস্থ প্রবাহের কথা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই বহিস্থ প্রবাহের কারণে দেশের সামগ্রিক যে উন্নয়ন হচ্ছে তার গতি-প্রকৃতি কিছুটা হলেও শ্লথ হচ্ছে। ব্যাংকিং এবং ব্যাংকবহির্ভূত অন্যান্য আর্থিক খাতে বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনাকে গতিময়তা যেমন দেয়া দরকার, তেমনি যারা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছেন তাদের সততা ও নৈতিকতাবোধকে জাগ্রত করতে হবে। একজন দক্ষ কাণ্ডারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে গতিশীল করতে পারেন যিনি পরমুখাপেক্ষী না থেকে বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে সূচকনির্ভর না হয় অর্থ ব্যবস্থাপনা মুদ্রা ও পুঁজিবাজারকে ঢেলে সাজাবেন। যাতে করে আর্থিক বাজার সরকারের নির্দেশিত পথে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
দৃশ্যমানভাবে ঋণ খেলাপীরা কোন ধরনের শাস্তি ইতোপূর্বে না পাওয়ায় এবং সমাজে তাদের কদর না কমায় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ এবং কর্মকর্তারা ঋণ খেলাপীদের মতো বিভিন্ন সময় বেঁচে যাওয়ায় অর্থ পাচারকে অনেক সুযোগসন্ধানী গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন কিনা সেটি নিয়ে গবেষণা ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা থাকা দরকার। ঢালাওভাবে যেমন ঋণ খেলাপীদের দোষারোপ ঠিক নয়, তেমনি যারা অর্থ পাচারের সুযোগ দিয়ে আর্থিক বাজারকে সমস্যার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। করোনা মহামারীর সুযোগ নিয়ে যদি কেউ লুণ্ঠন প্রক্রিয়ায় আর্থিক খাতে জড়িত হয়ে পড়ে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক।
লেখক : ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট এবং আইটি এক্সপার্ট
pipulbd@gmail.com
আরকে//
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।