আর্থ্রাইটিসের কারণ ও করণীয়
প্রকাশিত : ১১:১৯, ১২ অক্টোবর ২০২১
আর্থ্রাইটিস শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। আর্থ্রাইটিস হচ্ছে হাড় অথবা হাড়ের জোড়ার প্রদাহ। বাংলায় এটিকে বলা হয় বাত। এ ধরনের রোগের কারণ ও করণীয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন কিছু জানি না। ব্যথাকে তেমন গুরুত্ব না দেয়ার ফলে জটিল আকার ধারণ করে রোগটি।
আর্থ্রাইটিসের কারণ ও করণীয়
আর্থ্রাইটিস বা বাতের অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ হলো হাড়ের জয়েন্টে জ্বালাপোড়া, হাত পা বা বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যাওয়া এবং হাঁটা-চলায় অসুবিধা অনুভব করা।
বাড়তি ওজন মানেই শরীরে বাড়তি ব্যথা। অতিরিক্ত ওজন বা মেদ সাধারণত কোমরে জমে। আর সেখান থেকেই শুরু হয় ব্যথা এবং ধীরে ধীরে হাঁটুতে নামে। বাত থেকে দূরে থাকার প্রধান শর্তই হচ্ছে উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন ঠিক রাখা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে, বিশ্বের ৪১ মিলিয়নেরও বেশি শিশুরই বয়সের তুলনায় ওজন বেশি। বিশেষ করে, পাঁচ বছর বয়সের নীচের শিশুদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে হয়। মোটা শিশুদের বাত, ডায়বেটিস এবং হার্টের অসুখ সহ নানা অসুখের ঝুঁকি থাকে।
যে কোনো অসুখের ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ওজনের একটি নেতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সবসময়ই সতর্ক হতে হবে। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিনযুক্ত খাবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব যেন না হয়।
সপ্তাহে দু’দিন সামুদ্রিক মাছ খেলে বাতকে দূরে রাখা সম্ভব হয়। ‘আর্থাইটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ’-এ তথ্যটি প্রকাশ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন- এর বিশেষজ্ঞদের করা এক সমীক্ষার ফলাফলেও এর প্রমাণ মিলেছে।
নিয়মিত ব্যায়াম যেমন শরীর সুস্থ রাখে, তেমনি অসুখ-বিসুখকেও দূরে রাখে। তবে বাতের ব্যথা এড়াতে বিশেষ কিছু ব্যায়ামের বিকল্প নেই বলে জানান, জার্মানির গোয়েটিংগেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের অর্থপেডিক্স ক্রিস্টোফার স্প্যারিং।
কিছু পেশায় যেমন অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, অন্য কিছু পেশায় আবার সারাদিন বসেই থাকা হয়। এর পাশাপাশি ভারি কাজ করতে গেলেও হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে প্রচুর চাপ পরে। তাই পেশাগত কারণে সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ছোটবেলার কোনো ক্ষত বা হাত পা ভেঙে যাওয়া থেকে পরবর্তীতে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা দেখা যায়। বয়স বাড়ার সথে এ ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। তাই বড় ধরনের ক্ষত পুরনো হওয়ার আগেই সতর্ক হতে হবে। নিয়মিত পরামর্শ নিতে হবে অর্থপেডিক ডাক্তারের।
পায়ের পেশী ঠিক রাখতে প্রতিদিন তিন রকমের জুতো পরা উচিত বলে জানা গেছে গবেষণায়। এর ফলে পায়ের আঙুলের জয়েন্টে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং পুরো পায়ের পাতায় চাপ কম পরে বলেও মনে করছেন গবেষকরা।
সূত্র : ডি ডব্লিউ
এমএম/এসএ/