আলমডাঙ্গায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১১
প্রকাশিত : ১৩:৪৫, ১২ মার্চ ২০২৩
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ও নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্কুলছাত্রীসহ ১১ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার দিনগতরাত ৮ থেকে শুরু হয়ে দফায় দফায় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জহুরুলনগর ও বলিয়ারপুর গ্রামে ঘটে এ ঘটনা।
আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম।
আহতদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের ৮ কর্মীরা হলেন নাদহ ইউনিয়নের জহুরুলনগর ক্লাব পাড়ার মৃত আফতাব মণ্ডলের ছেলে খবির উদ্দিন (৫৫), তার দুই ভাই আনিছুর রহমান (৪৫) ও দবির উদ্দিন (৪০) এবং একই এলাকার ইসমাইল লস্করের ছেলে মিয়াজান (৩৫), মৃত ছানার উদ্দিনের ছেলে আকরাম হোসেন (৩৬), বলিয়ারপুর গ্রামের মৃত শাজাহান আলী মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সেলিম (৪৬), একই এলাকার মৃত শামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে বাবলুর রহমান (৫০) ও মোতালেব মণ্ডলের ছেলে কেসমত আলী (৪০)।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে আহত হয়েছেন বলিয়ারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত ইছাহাক আলী মণ্ডলের ছেলে ইসরাইল হোসেন বুদো (৪০), তার ছেলে মামুনুর রশিদ (২৪) এবং মেয়ে নাগদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা আক্তার মাইশা ওরফে ঈশিতা (১৫)। আহতদের মধ্যে দবির উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ১১ জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দিয়েছি। তার মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী হায়াত আলীর ভাই আশিক ইকবাল স্বপন জানান, শনিবার রাতে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল করছিলাম। এ সময় চশমার প্রার্থীর কর্মীদের সঙ্গে আমাদের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে তারা আমাদের কর্মীদের লাঠিশোঠা, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ৮ জন কর্মী রক্তাক্ত আহত হয়।
চশামা প্রতীকের প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুল বলেন, শনিবার রাতে হিংসামূলক নৌকার কর্মীরা আমার অফিস ভাংচুর করে। পরে তারা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাংচুর করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে। শুধু তাই না, নৌকার কর্মীরা আমার কর্মী ইসরাইস হোসেন বুদোর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার বাড়ি ভাংচুর করে এবং তার ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে আহত করেছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসালাম বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। চশমার অফিস ও তার কয়েকটা মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জেনেছি। এখনও পর্যন্ত থানায় কেই অভিযোগ করেনি।
পরবর্তীতে এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এএইচ
আরও পড়ুন