আ’লীগে নতুন পদ পেলেন যারা
প্রকাশিত : ১৫:১৭, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
একবিংশতম জাতীয় কাউন্সিলে নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছে নতুন কিছু মুখ। একই সঙ্গে আগের কমিটিতে থাকা বেশ কয়েকজনের পদোন্নতি হয়েছে।
সভাপতিমণ্ডলী
গত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এবার সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পেয়েছেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, আবদুল মতিন খসরু আগের কমিটিতেও সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন।
আগের কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মারা গেছেন। ২০১৬ সালে গঠিত কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন ১৫ জন। আর এবার মোট ১৭ জনকে সদস্য করা হল।
উপদেষ্টা পরিষদ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে আগের কমিটিতে ছিলেন ৪৪ জন। এবারের কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে উপদেষ্টার পদ বাড়িয়ে ৫১ জন করা হয়েছে।
আগের কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা হলেন-
এস এ মালেক, আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মো. রহমত আলী, এইচ টি ইমাম, মসিউর রহমান, অধ্যাপক আলাউদ্দিন আহমেদ, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, রাজীউদ্দিন আহমেদ রাজু, মহিউদ্দীন খান আলমগীর, ব্যরিস্টার শফিক আহমেদ, সৈয়দ আবু নসর অ্যাডভোকেট, শ্রী সতীশ চন্দ্র রায়, অধ্যাপক আব্দুল খালেক, অধ্যাপক ডা. রুহুল হক এমপি, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কাজী আকরাম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক হামিদা বানু, অধ্যাপক মো. হোসেন মনসুর, অধ্যাপক সুলতানা শফি, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, অ্যাম্বাসেডর মো. জমির, গোলাম মওলা নকশাবন্দি, মির্জা এমএ জলিল, প্রণব কুমার বড়ুয়া, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্লিক, অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান, গওহর রিজভী, খন্দকার বজললু হক, মো. রশিদুল আলম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কাজী সিরাজুল ইসলাম, মকবুল হোসেন, চৌধুরী খালেকুজ্জামান, অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, মুকুল বোস, সালমান এফ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান, জয়নাল হাজারী।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ৪টি পদের মধ্যে মাহাবুব-উল-আলম হানিফ ও দীপু মনি এবারও একই পদে আছেন।
আগের কমিটির দুজনের পদোন্নতি হওয়ায় সেই জায়গায় এসেছেন হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তারা আগের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক
আগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন আটজন। এই পদে পাঁচ জনের নাম ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা।
পুরনো কমিটির আহম্মদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সঙ্গে নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম।
আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহউদ্দিন সিরাজ, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নাম এবার কোনো পদেই আসেনি।
সম্পাদক ১৪ জন
আগের কমিটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ হয়েছেন নতুন কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এবার পুরো সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন।
আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে এসেছেন নজিবুল্লাহ হিরু। আগে এ দায়িত্বে ছিলেন পূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মেহের আফরোজ চুমকি পেয়েছেন মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের পদ। ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা এ দায়িত্ব সামলে আসছিলেন।
এছাড়া আগের কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে শাম্মী আহমেদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মৃণাল কান্তি দাস, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শামসুন নাহার চাঁপা, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা একই দায়িত্বে বহাল আছেন।
আগের কমিটিতে সম্পাদক ছিলেন মোট ১৯ জন। বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে কারও নাম শনিবার ঘোষণা করা হয়নি।
গত কমিটিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, মো. আবদুস সাত্তার বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এবং হাবিবুর রহমান সিরাজ শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
এসএ/
আরও পড়ুন