ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আল্পস একসময় ছিল সাগর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪১, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:১১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

আল্পস পর্বতমালা একসময় সাগর ছিল। আল্পসের চূড়া থেকে পাওয়া প্রবাল, মাছের আশ, শামুকের জীবাশ্ম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা।

সম্প্রতি জার্মানির মিউনিখ শহরের দক্ষিণে অবস্থিত আল্পস পর্বতমালার অংশ ব্রাউনেক পাহাড় থেকে প্রবাল, সামুদ্রিক মাছের আশ ও ঝিনুক পেয়েছেন সমুদ্র গবেষক মার্টিন নোজে ও মিউনিখের লুডভিশ মাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ ড. আলেকজান্ডার ন্যুটসেল।

অধ্যাপক ন্যুটসেল এ বিষয়ে বলেন, আমরা এখানে মেসোজোয়িক যুগের টেথিস বা নিওটেথিস সাগরের অবশিষ্ট দেখেছি। সম্ভবত এখানে কয়েক মিটার ব্যাসের একটি শৈলশিলা ছিল। মূলত আল্পস পর্বতমালার প্রতিটি পাথর প্রবাল ও শ্যাওলার জীবাশ্ম থেকে সৃষ্টি। প্রবাল ছাড়া অতি ক্ষুদ্র শৈবালও চুন সৃষ্টি করতে পারে। সেই চুন লক্ষ্য কোটি বছর ধরে সমুদ্রবক্ষে জমা হয়ে তিন কিলোমিটার পুরু একটি স্তর সৃষ্টি করেছে।

জীবাশ্মবিদ অধ্যাপক আলেকজান্ডার ন্যুটসেল বলেন, আল্পসের উপরে সব কিছু ফসিলে ভর্তি। সর্বত্র ঝিনুক পড়ে রয়েছে। যেসব পাথরকুচি পড়ে রয়েছে, সে সবের অনেকই ঝিনুকের টুকরো। সম্ভবত কোটি কোটি বছর আগে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এত ঝিনুক মারা পড়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই অ্যামোনাইট সেফালোপডগুলো বিশ কোটি বছর আগে বেঁচে ছিল।

বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, আফ্রিকা আর ইউরোপ মহাদেশের টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে আল্পস পর্বতমালার সৃষ্টি হয়েছিল। দশ কোটি বছর আগে  আফ্রিকা যখন ইউরোপের দিকে আসতে শুরু করে, তখন সাগরের নিচে মাটির স্তর ভেঙে আফ্রিকার নিচে ঢুকে যায়। দুই মহাদেশের মধ্যে ৬ হাজার মিটার উঁচু একটি ভাঁজ সৃষ্টি হয়, যা আজকের আল্পস। কোটি কোটি বছরের ঝড় ও বাতাসে তার উচ্চতা অনেক কমে গেছে। তবে দুই মহাদেশের ধাক্কা এখনও শেষ হয়নি। খুব ধীরে আজও চলছে তা। যার চাপে আল্পস কোনো এক সময় আবার বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলেই আদি টেথিস সাগরের নিচে থাকা প্রাণীদের জীবাশ্ম আরও উঁচুতে উঠে আসছে।


সূত্র : ডয়েচে ভেলে

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি