আশঙ্কা-অপপ্রচারকে পেছনে ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫০, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১১:৫১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
করোনা মহামারি শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের একটি অংশের বিরূপ প্রচারণার শিকার হয় বাংলাদেশ। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু, অর্থনীতি ধসের পড়ার আশঙ্কার খবরই ছিল এসব গণমাধ্যমের বিষয়বস্তু। আর তাতে ইন্ধন জোগায় এক ব্রিটিশ সাংবাদিক ও দুই প্রবাসী। যদিও বাংলাদেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পূর্বাভাস ছিল সব সময় ইতিবাচক। শেষ পর্যন্ত আশঙ্কা আর অপপ্রচারকে পেছনে ঠেলে সামনের দিকেই যাচ্ছে দেশ। করোনা নিয়ন্ত্রণেও বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়। এরপরই দ্রুতই তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, রূপ নেয় মহামারিতে। আর গেল বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। এই মাসের শেষ দিকে বিশেষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
করোনা সংক্রমণ শুরুর আগেই প্রস্তুত হচ্ছিল বাংলাদেশ। আর শনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভয়, শংকা দূরে ঠেলে চিকিৎসক, নার্স, স্বেচ্ছাসেবীসহ পুরো দেশ করোনাবিরোধী যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।
৩১ মে সাধারণ ছুটি তুলে নেয়া হয়। সচল হয় অর্থনীতির চাকা। খুলে যায় সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠান। গতি ফিরে অর্থনীতিতে।
স্বস্তির খবর আসতে থাকে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে ইতিবাচক পূর্বাভাস দেয় তারা। যদিও উন্নত, উদীয়মান, উন্নয়নশীল বেশিরভাগ অর্থনীতি তখন ভয়াবহ ঋণাত্বক প্রবৃদ্ধির ধারায়।
এদিকে, অর্থনীতির চাকা সচল হলেও করোনা মোকাবেলায় সরকার ছিল সব সময়ই সতর্ক। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত বহাল থাকে।
তবে বাংলাদেশ সরকারের করোনা যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একটি অংশ প্রথম থেকেই অপপ্রচার শুরু করে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা। গত ৭ এপ্রিল তাদের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশে ২০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
এর আগে ২৩ মার্চও তারা বিভ্রান্তিকর একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। বাংলাদেশের মানুষ ভয়ে আছে। আর দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। এমন দাবি করা হয় তাতে।
করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারে পিছিয়ে ছিল না ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফও। সাধারণ ছুটি তুলে নেয়ার তীব্র সমালোচনা করে গত ১১ জুন বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে আখ্যা দেয় টেলিগ্রাফ। বলা হয়, অর্থ ও খাবারের অভাবে রাজধানী ছাড়ছে বহু মানুষ।
বাংলাদেশ নিয়ে ইতিবাচক ছিল না জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেও। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, করোনা বাংলাদেশে মারাত্বকভাবে আঘাত করেছে।
আর ঘুরেফিরেই ওইসব প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গমান, ইউরোপ প্রবাসী দুই বাংলাদেশী পিনাকী ভট্টাচার্য ও তাসনীম খলিলের বক্তব্যকেই বিশেষজ্ঞ মত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
৩ জনের এই চক্রটি বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একটি অংশকে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার করছে।
তবে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন শেষ পর্যন্ত ভুল ও মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলছে, চলতি বছরও বড় প্রবৃদ্ধির অজর্নকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি হবে বাংলাদেশ।
ভিডিও-
এএইচ/