আশুলিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৫:৫৬, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় সহপাঠীদের সঙ্গে পানিতে গোসল করতে নেমে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে শিক্ষার্থী সোহাগ খন্দকারের লাশ স্থানীয় জেলেরা জাল ফেলে উদ্ধার করেছে। পরে দুপুর ২টার দিকে ডিইপিজেডের দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা নিহত মাসুদের লাশ উদ্ধার করেন।
জানা যায়, রোববার হিন্দুধর্মালম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ৮ শিক্ষার্থী ডগরতলী এলাকায় বংশী নদীতে গোসল করতে যায়। সেখানে নদীর স্রোতে গভীরে চলে যায় সোহাগ ও মাসুদ। তাদের অন্যান্য সহপাঠীরা সাতরিয়ে ডাঙ্গায় ওঠতে পারলেও তারা দুজন ওঠতে পারেনি। এ খবর স্থানীয়দের নিকট জানালে স্থানীয় জেলেরা প্রথমে নদীতে জাল ফেলে তাদের খুজতে থাকেন। এরপর ডিইপিজেডের দমকল বাহিনীর ডুবুরি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। দমকলবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই জেলেরা সোহাগের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। পরে বেলা দুইটার দিকে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা নিখোঁজ মাসুদের লাশ উদ্ধার করেন।
পানিতে ডুবে নিহত সোহাগ খন্দকার আশুলিয়ার কাইছাবাড়ির এলাকায় সিরাজুল খন্দকার ও জে এল মডেল স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অপর নিহত শিক্ষার্থী মাসুদ হোসেন কাইছাবাড়ি এলাকায় ইকবাল হোসেনের ছেলে ও কাইছাবাড়ি আইডিয়াল মডেল স্কুলের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যেক্ষদর্শী জিল্লুর হোসেন জানান, রেবাবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৮ জন বিভিন্ন বয়সের শিশু- কিশোর বংশী নদীর শাখা ডগরতলী খালে গোসল করতে নামে। এ সময় দুইজন স্রোতের টানে গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। বাকি ৬ জন ডাঙ্গায় উঠতে পারলেও দুইজন নিখোঁজ হয়।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা আবদুল হামিদ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ চালায়। স্থানীয় জেলেদের জালে একজনের লাশ উঠাতে সক্ষম হলেও অপর নিখোঁজ মাসুদের লাশ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন।
একে//
আরও পড়ুন