ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

করোনাকালের অর্থনীতি

আসবে সুদিন, অপেক্ষা শুধু সময়ের

ইমদাদ হক

প্রকাশিত : ২০:১৮, ৮ মে ২০২০ | আপডেট: ২০:২৭, ৮ মে ২০২০

করোনাকালের অর্থনীতি, ইনসেটে লেখক।

করোনাকালের অর্থনীতি, ইনসেটে লেখক।

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে- হঠাৎ করে দুধ উথলে পড়ে যাওয়া অত্যন্ত শুভ একটি লক্ষণ। যা আমাদের জীবনে বিশেষ শুভ কিছু ঘটাতে পারে। মনে করা হয়, এ রকম ঘটনা শুভ বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। কর্মে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা, ব্যবসায় চরম উন্নতি বা আয় বৃদ্ধির মতো ঘটনা ঘটে দুধ উথলে পড়লে। তবে, একটু খেয়াল রাখতে হবে যেন, দুধ একেবারে পুড়ে না যায়।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনা’র প্রভাব যেন ঠিক উথলে পড়া দুধের মতোই। চীনের উহান হতে বাংলাদেশে উড়ে আসতে খানিকটা সময়ই নিয়েছিল ভাইরাসটি। পূর্বপ্রস্তুতি, চলমান প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ক‘দিন পর কি হবে- নানারকম পর্যালোচনা সবার মুখে মুখে, সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা জুড়ে। তবে এই ভাইরাসের জেরে বিশ্ব অর্থনীতির একটা বড় অংশেই মন্দা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। যার ছিটেফোটা প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও। 

তবে আমাদের অর্থনীতির বিশ্লেষকদের মতে, আমাদের অর্থনীতি উদীয়মান, যার ভিতও বেশ শক্ত। এমনকি ২০০৮ সালের বিশ্বজোড়া মন্দার পরবর্তী সময়ের চেয়েও এখন তা বেশি মজবুত। করোনা অর্থনীতিকে ধাক্কা দিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তা কেটে যাবে। তবে ফুলে ফেঁপে উঠতে যাওয়া অর্থনীতির গায়ে যে খানিকটা আঁচড় লেগেছে বলার অপেক্ষা রাখে না। 

লেখক- ইমদাদ হক

অথচ এই তো, মাত্র কয়েক মাস আগেও, করোনাকালের আগের কথা। গত এক দশকে আমাদের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে এ হার ৮.২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে রপ্তানি আয় ও বিদেশ থেকে প্রেরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈদেশিক মদ্রার রিজার্ভ প্রায় নয় গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এমন সারচিত্র অর্থনীতির সবগুলো সূচকেই। করোনার প্রভাবে জ্যামিতিক হারেই হাঁপাতে থাকে উর্ধ্বগতির সূচক কাঁটাগুলো। বলতে গেলে, থমকেই যেতে থাকে প্রবৃদ্ধির সবগুলো খাত। 

হঠাৎই নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তছনছ হয়ে পড়ছে অর্থনৈতিক কাঠামো। শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বের উন্নত  দেশগুলোর অর্থনীতিও। ধারাবাহিক উন্নয়নের পথে ধাবিত দেশকে করোনা উল্টোপথে এনে দাঁড় করিয়েছে। করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষায় দেশ এখন লকডাউনে। বেশিরভাগ উৎপাদন বন্ধ। বাজার ব্যবস্থাও হিমশিম খাচ্ছে। বড়, মাঝারি, ছোট সব ধরনের শিল্প এ প্রভাবে আক্রান্ত। কুলি, মজুর, অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বিপুল পরিমাণ মানুষের দৈনন্দিন আয়ের পথও বিপর্যস্ত। করোনায় অর্থনীতিকে বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ পোহাতে হবে সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের রেমিট্যান্সেও বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন সেবা খাত বিশেষত হোটেল- রেস্তোরাঁ, পরিবহন এবং বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল খাতের ওপরও বিরূপ প্রভাব শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক তো বলেই দিলো, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ হতে পারে। শুধু কি তাই, আরও এক ধাপ এগিয়ে তারা ঘোষণা করলো, শুধু এ বছর নয়, আগামী অর্থবছরে তা আরও কমে দাঁড়াবে ১.২ থেকে ২.৯ শতাংশ। আর, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে একটু ঘুরে দাঁড়ালেও তা ৪ শতাংশের নিচেই থাকবে। 

এ পূর্বাভাস এমন এক সময়ে আসলো যখন বাংলাদেশ ১০ বছরেরও বেশি সময় টানা ৭ শতাংশের প্রবৃদ্ধিও কোঠা ছাড়িয়ে ৮ শতাংশের ঘর টপকে দ্রুত গতিতে ছুটতে শুরু করেছিল। আর, অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক বেশির ভাগ সূচকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়াকে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়েছে তো অনেক আগেই। যার স্বীকৃতিও এসেছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে। সংস্থাটির মন্তব্য, একটি জনবহুল ও নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য দূর এবং বৈষম্য কমানোকে সংযুক্ত করেছে, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি দেশ। ১৯৯০-এর পর সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধিতে উন্নয়নশীল দেশের গড় হারের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। দারিদ্র্যের হার অর্ধেক হয়ে গেছে। মেয়েদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদানের হার দ্রুত বেড়েছে, জনসংখ্যা, গড় আয়ু, শিশুমৃত্যুর হার, মেয়েদের স্কুলে পড়ার হার, সক্ষম দম্পতিদের জন্মনিয়ন্ত্রণব্যবস্থা গ্রহণের হার ইত্যাদি সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ সমপর্যায়ের উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশ, এমনকি প্রতিবেশী ভারতকে পেছনে ফেলতে সমর্থ হয়েছে।

এসব হার বিবেচনা করেই বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার জোরালোই থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, যা এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। সরকার চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত এক দশক ধরে বাংলাদেশের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, খাতভিত্তিক নানা সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ, তা মাত্র তিন চার মাসের স্থবির অবস্থার জন্য শুন্য হয়ে যাবে- এটা কি গ্রহণযোগ্য?

করোনা সংকট মোকাবেলায় এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বহুরৈখিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার কয়েকটি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন; যা জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। পোশাকশ্রমিকদের শতভাগ বেতন নিশ্চিত করতে দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। ৫ হাজার কোটি টাকা রয়েছে কৃষি ও কৃষকের জন্য। এ খাতে আগামী বাজেটে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্তও রয়েছে। বোরো মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া সহজ শর্তে, জামানত ছাড়াই খুদে উদ্যোক্তা, কৃষক বা শ্রমিকদেও জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাস দুর্যোগে সব ধরনের ঋণের সুদ আদায় দুই মাস বন্ধ রাখছে ব্যাংকগুলো। 

সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি- এডিপি থেকে এরই মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা করোনা মোকাবেলায় গৃহিত কর্মসূচিতে ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অর্থ এডিপির প্রায় সোয়া তিনশ প্রকল্পে অব্যয়িত অবস্থায় ছিল। থোক বরাদ্দের রয়েছে আরও ১৬০০ কোটি টাকা। আবার, সংকটকালীন দেশে যেনো স্থিতিশীল অবস্থা বজায় থাকে, তারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত দুই মাসে প্রায় সোয়া ১ কোটি পরিবারকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সহায়তা দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তাও দিচ্ছে সরকার। 

ম্যানিলাভিত্তিক সংস্থা এডিবি বলছে, দ্রুতবর্ধনশীল তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় বাজারগুলো থেকে চাহিদা কমায় বাংলাদেশের জিডিপি কমবে। তবে বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আস্থার উন্নয়ন হলে ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়তে পারে। যদিও সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে করোনার অর্থনৈতিক প্রভাব তেমন একটা উল্লেখ করা হয়নি। তাদের প্রতিবেদন বলছে, বর্ধনশীল অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জোরালো রয়েছে। উন্নয়ন খাতে সরকারের উচ্চব্যয়; তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), তেল ও নির্মাণসামগ্রীর আমদানি বৃদ্ধি; উপযোগী বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং রপ্তানি বাড়াতে সরকারের নীতিসহায়তার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে রপ্তানি চাহিদায় বিপর্যয়, ভোগ সংকোচন হলে ও  রেমিট্যান্স কমে গেলে এ প্রবণতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

করোনার কারণে চীনের ভাবমূর্তি বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক নানা গণমাধ্যমের খবর বলছে, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে চীন এখন সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায়। করোনার প্রভাব আর ভাবমূর্তি সংকট। যুক্তরাষ্ট্র বেশ জোরেশোরেই বলছে, গবেষণাগারে করোনা ভাইরাস বানিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে চীন। ইউরোপের পরাশক্তির দেশগুলোও অভিযুক্ত করছে চীনকে। আর স্পেন, তুরস্ক,  নেদারল্যান্ডস এরই মধ্যে চীনের দেওয়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী কিট ও বিভিন্ন মেডিকেল যন্ত্রপাতি ফিরিয়ে দিয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যও করোনাভাইরাস ইস্যুতে চীনকে সন্দেহের চোখে দেখছে। আর ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতেও এখন পর্যন্ত শীর্ষ পণ্য রপ্তানিকারক দেশ চীন। 

করোনা নিয়ে যে সংকট তৈরি হলো চীন ও সেই সব দেশের মধ্যে- এর প্রভাব নিশ্চয়ই বাণিজ্যেও পড়বে। এরই মধ্যে জাপান তাদের বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ চীন থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য তারা ২.২ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনাও দিচ্ছে। চীন থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে জাপানের নতুন লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এই সুযোগটা সহজেই নিতে পারে বাংলাদেশ। জমি, উপযুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বন্দর সুবিধার কারণে জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগে বেশ আগ্রহী। আমাদের তুলনামূলক সস্তা শ্রম বিনিয়োগ আকৃষ্টের বড় কারণ। কেবল জমি বরাদ্দ, ব্যবসায়িক লাইসেন্সের অনুমোদন, বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো সহজভাবে তুলে ধরতে হবে। 

রপ্তানির ক্ষেত্রেও আশার বাণী শোনাচ্ছে বাংলাদেশ। ইউরোপ-আমেরিকার অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের স্থগিতাদেশ তুলে নিচ্ছে। তারা বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের পণ্য সরবরাহের কথা জানিয়েছে। ইউরোপের অন্যতম বড় ক্রেতা দেশ সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে তাদের রপ্তানি আদেশ অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। একইভাবে নেদারল্যান্ড ও ডেনমার্কও ক্রয়াদেশ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি করোনা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে।

বিদেশ থেকে বেশ কিছু কর্মীও চলে আসতে শুরু করেছে দেশে। সে দেশে কাজ নেই বলে। হয়তো রেমিটেন্স প্রবাহে খানিকটা ভাটা পড়বে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। কেননা, আফ্রিকার দেশগুলোতে নতুন করে আরও এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান তৈরির উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন। সব ঠিক থাকলে করোনা পরবর্তী দ্রুততম সময়েই সেটা সম্ভব হবে। আর, বাণিজ্যের প্রসারে কাগুজে জটিলতাগুলো আরও সহজ করতে হবে।

লেখক- ফ্রিল্যান্স লেখক। 

এনএস/


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি