আসল এন৯৫ মাস্ক চিনবেন যেভাবে
প্রকাশিত : ১৪:০৩, ২৯ জুলাই ২০২০
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আসেনি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কোভিড-১৯ থেকে দূরে থাকতে হবে। এই স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে মাস্ক ব্যবহার
অন্যতম। তবে কোন মাস্ক পরতে হবে, তা নিয়ে অনেক মানুষই আছে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। কেউ বলছেন এন-৯৫, কেউ বা আবার বলছেন সার্জিক্যাল মাস্ক। কেউ বলছেন সুতির মাস্কেও হবে।
তবে কাঙ্খিত মাস্ক কোনটি? অনেকেই এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ ভালভ রেসপিরেটর যুক্ত এন৯৫ মাস্ক কিনেন। কিন্তু ভালভ রেসপিরেটরযুক্ত মাস্ক পরে বাইরে বেরলে
নাকি সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তাহলে কোন মাস্ক পরবেন সাধারণ মানুষ? ভালভ ছাড়া এন৯৫ পরলে তা যে আসল, বুঝবেনই বা কী করে?
আসল এন৯৫ মাস্ক চেনাটা সাধারণের জন্য বেশ মুশকিল, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এন৯৫ মাস্কের যেগুলোতে ভালভ রেসপিরেটর নেই, সেই মাস্কই সবথেকে
ভাল। এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর ছোঁয়ায় তা নকল হচ্ছে দেদারছে।
নিম্নমানের বা নকল এন৯৫ মাস্ক বাজারে ছেয়ে গিয়েছে। যা সংক্রমণ প্রতিহতের বদলে ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে। একমাত্র যে সংস্থা মাস্ক তৈরি করছে, তাদের ক্ষেত্রেই বলা সম্ভব
যে আসল এন৯৫ মাস্ক কোনটা। একবার হাতে নিয়েই এন৯৫ মাস্কটি আসল না নকল তা চিকিৎসকদের পক্ষেও বোঝা মুশকিল।
মাস্ক আসল না নকল তা চিনতে পারার উপায় অবশ্যই রয়েছে। সেটা হল একটি সার্টিফিকেট। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ
(এনআইওএসএইচ) দ্বারা মাস্ক অনুমোদিত কি না তা পরখ করে দেখে নেওয়া। যারা এন৯৫ মাস্ক কিনছেন সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি নম্বর মাস্কের গায়ে উল্লেখ করা থাকে। সঙ্গে থাকে
এনআইওএসএইচের কথাও। মাস্কের গায়ে লেবেলে বা প্যাকেজেও উল্লেখ থাকে। যারা প্রযুক্তির ব্যবহারে সক্ষম, তারা এই সংস্থার ওয়েবসাইটে গিয়ে সেটি মিলিয়ে দেখে নিতে পারেন।
কী কী দেখলে বোঝা যাবে যে মাস্কটি নকল এন৯৫। সে বিষয় এবার জেনে নিন...
১. ফিল্টারিং রেসপিরেটরে কোনও মার্কিং না থাকলে
২. ফিল্টারিং মাস্কে কোনও টিসি নম্বর না থাকলে
৩. ক্যাপিটাল লেটারে এনআইওএসএইচ লেখা না থাকা বা ভুল বানানে লেখা
৪. সিকোয়েন্স বা কোনও নকশাদার কাপড় ব্যবহার হলে
৫. শিশুদের এই মাস্ক ব্যবহারে সম্মতির উল্লেখ থাকলে (এনআইওএসএইচ কখনোই শিশুদের ক্ষেত্রে এ জাতীয় মাস্কের কথা বলেনি)
৬. ফিল্টারিং রেসপিরেটর মাস্কে হেডব্যান্ড থাকার কথা, ইয়ারলুপ নয়। কারণ হেডব্যান্ড থাকলেই তা মুখে চেপে বসবে। সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।
এএইচ/এমবি