ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

আসামিদের ছাড়াতেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: মিন্নি

প্রকাশিত : ২০:০৭, ১৪ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ২২:৫৫, ১৪ জুলাই ২০১৯

মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের ছাড়াতেই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বরগুনায় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। তিনি বলেন, হত্যার বিচারকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য আমার শ্বশুরকে বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরের দিকে বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা মাইঠা এলাকায় তার বাবার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মিন্নি দাবি করে বলেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের আড়াল করতে, তাদেরকে বাঁচানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসময় তিনি অপপ্রচারকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

তিনি বলেন, আমার শশুর এখন মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত সে কখন কি বলে তা পরে মনে থাকেনা। তবে আমার মনে হচ্ছে তাকে দিয়ে কোন মহল স্বার্থ হাছিল করার জন্য আমাকে পেঁচিয়ে মামলাটিকে হালকা করার চেষ্টা করছে। যাতে করে আসামিরা ছাড়া পেয়ে যেতে পারে। আর আমার যদি নয়নের সঙ্গে বিয়েই হবে তবে যখন রিফাতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিলো তখন নয়ন কেন বাধা দেয়নি।

শ্বশুরের করা সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে মিন্নি বলেন, ‘গত ২৬ জুন আমার চোখের সামনে আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমি সন্ত্রাসীদের বারবার প্রতিহত করার চেষ্টা করেও আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারিনি। সবার কাছে সহযোগিতা চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। এরপর ২৭ জুন আমার শ্বশুর বরগুনা সদর থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যা মামলায় আমাকে কোথাও অভিযুক্ত না করে ১ নম্বর সাক্ষী বানানো হয়। এখন হঠাৎ আমাকে জড়িয়ে মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিন জনসহ সাত আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ছয় জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। তারা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে এদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত দাবি করে বরগুনায় সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে এলাকার লোকজন। রোববার সকাল ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এনএম/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি