আহত বিদ্যুৎকর্মীদের দেখতে গেলেন উপদেষ্টা, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা
প্রকাশিত : ১৮:৫৩, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | আপডেট: ১৮:৫৭, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
রাজধানীতে সঞ্চালন লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত বিদ্যুৎকর্মীদের দেখতে হাসপাতালে গেলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। এসময় তিনি হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেন।
আজ শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি তাদের দেখতে যান উপদেষ্টা।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি সম্পূর্ণ অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা। এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, ‘লাইনে কাজ করা অবস্থায় কেন লাইন চালু করা হলো এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল প্রত্যেককের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর দায় ডিপিডিসি, কোম্পানি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারেনা। এই অবহেলার জন্য একজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং দুজন মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা নেইনি, আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এটাকে আগের সরকারের মতো ভাবলে হবে না।’
আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। আহতদের জন্য কেবিন প্রদানের নির্দেশনাও দেন উপদেষ্টা। এছাড়া ডিপিডিসির পক্ষ থেকে হাসপাতালে সার্বক্ষণিক লোক নিয়োগের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় বিদ্যুৎ উপদেষ্টা নিহত এবং আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে তিনি বলেন, মানুষের মৃত্যুর কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না, কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিহত ও আহতদের পরিবার ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিবারকে পাঁচ লাখ, গুরুতর আহত ব্যক্তিকে দুই লাখ ও সামান্য আহত ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা প্রদানের নির্দেশনা দেন। আহতদের চিকিৎসার সকল খরচ সরকার বহন করবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এরআগে তিনি মানিকনগরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং কেন এ দুর্ঘটনা ঘটলো তার কারণ দ্রুত উদঘাটনের জন্য নির্দেশনা দেন।
রাজধানীতে সঞ্চালন লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বিদ্যুৎকর্মী নিহত ও দুইজন আহত হন। সোমবার সন্ধ্যায় মানিকনগর এলাকায় বিদ্যুৎলাইনের তার পরিবর্তনের কাজ করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন- বিদ্যুৎ লাইনকর্মী (ফোরম্যান) মো. নবীর হোসেন। আহতরা হলেন- মাসুম মিয়া ও রবিউল ইসলাম। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিদ্যুৎ লাইনকর্মী (ফোরম্যান) মো. নবীর হোসেন ডিপিডিসির মানিকনগর ডিভিশনের বাৎসরিক ঠিকাদার 'মেসার্স মুন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং' কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.এহছানুল হক, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ, ডিপিডিসি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ
আরও পড়ুন