ঢাকা, রবিবার   ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইউক্রেনকে দেয়া অর্থ ফেরত চান ট্রাম্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে পাঠানো কোটি কোটি ডলারের অর্থ তিনি ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

ওয়াশিংটন থেকে আজ রোববার এই খবর জানায় এএফপি।

যুদ্ধকালীন সময় জো বাইডেন ইউক্রেনকে যে সাহায্য দিয়েছিলেন, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিনি যে খনিজ সম্পদ চুক্তি চেয়েছেন, ওয়াশিংটন এবং কিয়েভ সেই চুক্তি নিয়ে আলোচনাকালে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন। 

ওয়াশিংটনের কাছে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল কনফারেন্স (সিপিএসি)-এ প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি টাকা ফেরত পেতে চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেছেন, আমি চাই তারা আমাদের কাছ থেকে যত টাকা নিয়েছে, তার বিনিময়ে আমাদের সঙ্গে খনিজ সম্পদ চুক্তি সম্পাদন করুক।’

ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে ইউক্রেন আমাদের টাকা ফেরত দিতে পারবে না। সেজন্য আমরা চাই তারা আমাদের সঙ্গে চুক্তিতে আসুক। কারণ, পরিস্থিতি ভয়াবহ।’

একটি সূত্র এএফপি’কে জানিয়েছে, মার্কিন চাপ বৃদ্ধি সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই ধরনের চুক্তি স্বাক্ষর করতে ‘প্রস্তুত নন।’

ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলগ বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বুঝতে পেরেছিলেন যে, আমেরিকার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করা গুরুত্বপূর্ণ।’ বিশেষ দূত গত সপ্তাহে কিয়েভ সফরে গিয়েছিলেন।

ইউক্রেন চায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে স্বাক্ষরিত যেকোনো চুক্তিতে নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হোক। কারণ তারা রাশিয়ার প্রায় তিন বছরের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধের মধ্যে দুই দেশের এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে কিয়েভ এবং ইউরোপে উদ্বেগ বাড়ছে।

এদিকে, কিয়েভ ছাড়াই সৌদি আরবে রাশিয়ান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার একদিন পর গত বুধবার ট্রাম্প ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে ‘স্বৈরশাসক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

কূটনৈতিক সূত্র এএফপি’কে জানিয়েছে, ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ডের কোনো উল্লেখ বাদ দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

কিয়েভকে দেওয়া সাহায্যের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ট্রাস্প ৫শ’ বিলিয়ন ডলার মূল্যের’ দুর্লভ খনিজ সম্পদের দাবি করেছেন, তবে ইউক্রেন তা অস্বীকার করেছে। কারণ ট্রাম্পের দাবিকৃত অর্থের চেয়ে খনিজ সম্পদের মূল্য অনেক বেশি।

প্রস্তাবিত চুক্তি সম্পর্কে ইউক্রেনীয় সূত্র এএফপি’কে জানিয়েছে, ‘গ্যারান্টি বা বিনিয়োগের বিষয়ে চুক্তিতে কোনো আমেরিকান বাধ্যবাধকতা নেই, তাদের সম্পর্কে সবকিছুই খুবই অস্পষ্ট এবং তারা আমাদের কাছ থেকে ৫শ’ বিলিয়ন ডলার আদায় করতে চায়।’

সূত্রটি জানিয়েছে, ‘এটা কী ধরনের অংশীদারিত্ব? আর কেন আমরা তাদের ৫শ’ বিলিয়ন ডলার দিতে হবে, এর কোনো উত্তর নেই।’ ইউক্রেন খসড়ায় সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, রুশ আগ্রাসনের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৬০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। কিয়েভের মিত্রদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি। তবে ট্রাম্পের দাবিকৃত অর্থের তুলনায় অনেক কম।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি