পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকদের গৃহ ঋণ
ইউজিসি ও অর্থ বিভাগের নীতিমালা নিয়ে দ্বন্দ্ব
প্রকাশিত : ০০:০১, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ০০:০৬, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯
পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষক কর্মচারীদের গৃহ ঋণের আবেদনের বয়স ও সুদ ভর্তুকি কিভাবে দেওয়া হবে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে দুই সরকারী সংস্থায়।
সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বল্প সুদে গৃহনির্মাণ ঋণের নীতিমালার ব্যাপারে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও অর্থ বিভাগ দফায় দফায় বৈঠক করলেও এখনো কোনো সমাধান করতে পারেনি।
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের গৃহ ঋণ কোষের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারী বিশ্ববিদ্যায়ের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারী কর্মচারীদের মতো বেতন তুলতে এখনও ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার) করা হয়নি। অর্থাৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন সরকারী সফট ওয়্যার আইবাসের অন্তর্ভূক্ত হয়নি। ফলে খুব সহজেই শিক্ষক-কর্মচারীরা গৃহঋণ পাবে তা আশা করা বাতুলতা মাত্র। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই মুহুর্তে প্রায় ২০ হাজার গৃহ ঋণ গ্রহীতাদের বেতন ইএফটি করবে না। সরকার থেকে যে ভর্তুকি দেওয়া হয় তা গৃহ ঋণের সুদের বরাদ্দে অন্তর্ভূক্ত করা সম্ভব কি না তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের রয়েছে দ্বিধা দ্বন্দ্ব।
উল্লেখ্য গত মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ-১ এর অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এক সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহ ঋণ প্রাথমিক ভাবে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
সভা শেষে একাধিক শিক্ষক প্রতিনিধি বলেছিলেন সরকারি অন্যান্য চাকরিজীবিরা ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত ঋণের আবেদনের সুযোগ পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পাবেন ৬৪ বছর পর্যন্ত। যদিও তাদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর।
তারা বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির পর উদ্যোগটি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, ব্যাংক থেকে সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে।
চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। ঋণের সীমা ঠিক করা হয়েছে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদ অর্থাৎ, চক্রবৃদ্ধি সুদ (সুদের ওপর সুদ) নিলেও ঋণ গ্রহীতাকে দিতে হবে পাঁচ শতাংশ।
সুদের বাকি অর্থ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি হিসেবে পরিশোধ করবে। দেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৪৫টি রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষকসহ চার-পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
এসি
আরও পড়ুন