ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতা, অনিয়ম ও ভোট কারচুপির ঘটনা তদন্ত করবে নির্বাচন কমিশন
প্রকাশিত : ১৯:১৬, ২৩ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৯:১৬, ২৩ মার্চ ২০১৬
প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতা, অনিয়ম ও ভোট কারচুপির ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। এমনটাই জানিয়েছেন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। ইউপি নিবাচনে প্রায়৭৪ শতাংশ বোট পড়েছে বলেও জানিয়েছেন সচিব। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সুষ্ঠু নিরেপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যার্থ হয়েছে ইসি ।
প্রথম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠে। সেই সঙ্গে সহিংসতার ঘটনাও ঘটে।
নির্বাচন নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেন ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রথম দফায় ৭৫২টি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারনে স্থগিত করা হয় ৪০টি ইউপি এবং ৫৬টি ভোট কেন্দ্র। তবে এসব ইউনিয়নে দ্রুতই ভোট গ্রহন করা হবে।
সচিব আরো জানান, সাতক্ষীরায় দায়িত্বে অবহেলার কারনে পুরিশ সুপার সহ সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই ধারাবাহিকতায় সব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে নির্বাচন বিশ্নেষকরা বলছেন, প্রথম থেকেই নির্বাচনী পরিবেশের উপর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারেনি ইসি। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে বাধা দেয়া , প্রচারনায় বাধা দেয়া , বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করাসহ সহিংসতার ঘটনা শক্ত হাতে সামাল দিতে পারেনি কমিশন।
তারা বলেন, নির্বাচনের আগে সিইসির বক্তোব্য কমিশনের অসহায়াত্ব ও দৃর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। প্রথমবারের মতো তৃনমুলে দলীয় প্রতীকের নির্বাচনের চ্যলেঞ্জটাই নিতে পারে নি ইসি।
তাদের মতে,বর্তমান কমিশনের অধীনে নির্বাচনী পরিবেশের গুনগত মানের ক্রমাগত যে অবনিত হচ্ছে তা চলতে থাকলে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠাটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে ও দিনেদিনে জনগনের আস্থা হারাবে।
আরও পড়ুন