‘ইউনূসসহ ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির বিকল্প নেই’
প্রকাশিত : ১৬:১১, ২৯ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৬:২৩, ২৯ জুন ২০২২
দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছেন ঢাকায় এক আলোচনা সভার বক্তারা।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বুধবার একটি গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
‘পদ্মা সেতু: সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এই বৈঠকের আয়োজক ছিল সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, “ড. ইউনূসহ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যারা দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করেছে, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির কোনো বিকল্প নাই।“
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, “কারও পরামর্শে নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তে, একক চিন্তায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঝুঁকি নিয়েছেন এবং সফল হয়েছেন। শেখ হাসিনা একক সাহসিকতায় এই জাতিকে বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছেন।“
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “আজ থেকে ৫০ বছর আগেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল বাংলাদেশকে নিয়ে। পরেও হয়েছে পদ্মা সেতু নিয়ে। পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের মূল হোতা ড. মো. ইউনূস। পরবর্তীতে তার সহযোগী হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তারা সমগ্র পৃথিবীর কাছে প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে, বাংলাদেশে দুর্নীতি হয়, যে কারণে এখানে বিনিয়োগ করা যাবে না।“
কিন্তু এই সব ষড়যন্ত্রকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গোলটেবিল বৈঠকের সভাপতি সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকের আলোচনায় যে শুধু সত্যই উদঘাটন, তা নয়। বরং অসত্য তথ্য, গুজব প্রতিরোধের জন্য এই গোলটেবিল বৈঠক শক্ত ভিত হিসেবে কাজ করবে।“
অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঞা, মাওলানা জিয়াউল হাসান, রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক অসীম সরকার, হায়দার মোহাম্মদ জিতু, সুভাষ সিংহ রায়, ড. নাছিম আখতার, ড. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
এএইচএস